এখানে চোর আছে পকেট সাবধান : এহছানুল হক মিলন
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, যার যার পকেট, মোবাইল, গলার স্বর্ণের চেইন সাবধানে রাখবেন এখানে চোর আছে। বর্তমান ভোটবিহীন গণতন্ত্র নস্যাতকারী তথাকথিত সরকারের আমলে আমাকে পুকুর, মোবাইল, ছিনতাইয়ের মামলা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে যে পরিমাণ মামলা দেয়া হয়েছে তার শাস্থি হিসেবে আমার এক হাজার ২৭৯ বছর জেল এবং তিনবার ফাঁসি হবে। শুধু দু`ইটা আইটেমের মামলা দেয়া হয়নি একটি মসজিদের গরু চুরি ও ইভটিজিং। এই সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠকে রুদ্ধ করে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্ন দেখছে।
রোববার ইতালির রোমে কাসিলিনা তাজমহল রেস্টুরেন্টে ইতালিস্থ চাঁদপুর জেলা সমিতি আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপের লন্ডনের পার্লমেন্টে বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, টিউলিপ বলেছেন লন্ডন যেন পৃথিবীর রিফিউজিদের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশিদের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র।
মিলন বলেন, টিউলিপ লন্ডন সংসদে তার নানাকে হত্যা করা হয়েছে বলেছেন এবং শেখ হাসিনার নামও বলেছেন কিন্তু গণতন্ত্রকে হত্যা করে পুলিশি নির্যাতন করে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছে সেই কথাটি বলেননি।
মিলন নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে কী সুন্দর রাজনীতি পরিচালনা করছেন। আট বছর পর মিট অব দ্য প্রেস করেছেন সেই অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিতে পেরেছি। আট বছর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান।
মিলন আরো বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বেগম জিয়া তিন মাস যে আন্দোলন করেছেন অনেকের মতে এটি ব্যর্থ কিন্তু খালেদা জিয়া সেই নেত্রী তিনি কাউকে ভয় পান না। তিনি শুকনো চিড়া খেয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাসবিহীন বাড়িতে অবস্থান করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়েছেন। বেগম জিয়ার আন্দোলনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনা অবৈধ সরকার। দেশের ৯০ ভাগ জনগণ বেগম জিয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলেন খালেদা জিয়ার কোনো বিকল্প নেই। তার প্রমাণ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তিনিও বের হয়ে এসেছেন দল থেকে কারণ শেখ হাসিনার দলে থেকে ভবিষ্যত অন্ধকার।
চাঁদপুর জেলা সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন মানিকের সভাপতিত্ত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসাইন, সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়াজীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি মিলন-পত্নী নাজমুন নাহার বেবী, আল আমিন বিশ্বাস, এমরান হোসেন প্রমুখ।
এসময় ইতালি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি তাইফুর রহমান ছোটন, মোজাম্মেল হক দীপু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাছির উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান হীরা, যুবদলের সভাপতি আনিমুর রহমান সালাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাছির উদ্দীন, রানা মোল্লা, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আফসার, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি গাজী সালাউদ্দীন সুইট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএ/এমএস