ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আদেশ আজ


প্রকাশিত: ০৫:০৮ এএম, ১২ জুলাই ২০১৫

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে রোববার।
 
ট্রাইব্যুনাল-২ এর তিন বিচারককে মানসিক অসুস্থ বলে মন্তব্য করায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবারো আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন তিন মুক্তিযোদ্ধা ও গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ।

এর আগে, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিষ্ট্রারের কাছে এই আবেদন করেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর, মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফএম শাহীন।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হলো।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ নাগরিক ও বাংলাদেশে নিউএজ পত্রিকার সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে দেয়া ট্রাইব্যুনালের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয়ায় গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে তাকে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড (ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২।  আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দণ্ড ভোগ করলেও জরিমানা দেবেন না জানিয়ে আদালতের ভেতরে বাইরে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আবেদনে তাকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ গত ১৬ জুন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

এছাড়াও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল-২৪’ এর “মুক্তবাক” অনুষ্ঠানে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন বিচারিক বিষয় ও ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক করে ওই আবেদনটি নিস্পত্তি করা হয়েছিল।  

এদিকে, এক ঘণ্টা সাজা ভোগ করে পাচঁ হাজার টাকা জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন নিয়ে চেম্বার আদালতে যান জাফরউল্লাহ চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

আদশের কপি ট্রাইব্যুনালে না পৌছানোর কারণে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২এর বিচারপতি ওবায়দুলর হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত।

এরপর চেম্বারজজ আদালতের স্থগিতাদেশ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার সময় তিনি আবরো ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তিনজন বিচারকের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ। তাই পাগলকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশ ট্রাইব্যুনালের কাছে পৌঁছে দিয়ে গেলাম।

এফএইচ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।