বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত রফিক!
বাংলাদেশের সোনালি যুগের শুরুর দিকের একজন মারকুটে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিক। যদিও তার দলে মূল দায়িত্বটা ছিল বাঁহাতি স্পিন। তবে মধ্যে মাঝেই বাংলাদেশের হয়ে অন্য দলের বোলারদের ওপর চড়াও হতেন রফিক। জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন একবারেই ফাঁকা। জাগো নিউজের সাথে একান্তে আলাপ দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রফিক মনে করেন, সাকিবদের পর আর তেমন কোনো ভাল ক্রিকেটার নেই। তাই বয়সভিত্তিক খেলাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। তার মতে, 'আমার পরে তো সাকিবরা আছে। কিন্তু সাকিবদের পরে আমি ওই ভাবে কাউকে দেখছি না। আসলে আমরা বলি পাইপলাইন। বাংলাদেশ দলে থাকবে টপ লেভেলের ক্রিকেটার। একাডেমি হবে। সেখানে বাচ্চারা শিখবে। এরা বয়স ভিত্তিক খেলবে। ওখান থেকে খেলতে খেলতে আসবে। ওখানে বিভিন্ন বোলারদের মুখোমুখি হতে হবে। সুতরাং ওই লেভেলটা অনেক উপরে। ওই লেভেল বানাতে হলে আপনাকে টিমের সাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ টিমে যে ধরনের ট্রেনিং হয়, সেটা যদি ঘরোয়া লিগে করা যায় তাহলে ভাল খেলোয়াড় পাবেন।'
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সবাইকে ঘরোয়া লিগ খেলার ব্যাপারেও পরামর্শ দেন এই কিংবদন্তী। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশ এর সব ক্রিকেটারেরই ঘরোয়া লিগ খেলা উচিত। আমার দিক থেকেই বলি, আমি যদি ঘরোয়া লিগ না খেলতাম আমার মত রফিককে কেউ চিনত না। বাংলাদেশ টিমে যত খেলোয়াড় আছে, সবাই ঘরোয়া লিগ থেকে এসেছে। তাই ওইটাকেই আগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। '
ক্রিকেটটাকে এখনও গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি। সে কথা তার বক্তব্যেই ফুটে ওঠে। সাবেক এই স্পিনার বলেন, 'তখন কিন্তু আমারা খুবই ক্ষুধার্ত ছিলাম, যারা ক্রিকেট খেলতাম। অন্য খেলোয়াড় কি মনে করে জানি না। কিন্তু আমি অনুভব করি । সুতরাং যখন ক্রিকেটে আসি, সত্য কথা বলতে তখন অবসর এর চিন্তাটা আসে।'
টি-টোয়েন্টি ফরমেটের যুগের আগেই রফিক তার অবসরে যাওয়াটাকে দুর্ভাগ্য হিসেবেই দেখেন। কিছুটা আফসোসের সুরে তিনি বলেন, 'আসলে হতে পারে, এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য । যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি তখন যদি এই টি-টোয়েন্টি থাকতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের এক নাম্বার খেলোয়াড় আমিই থাকতাম। আমি যেই ক্রিকেট পছন্দ করতাম ওই ক্রিকেটটা এখন এসেছে। আপনি দেখেন, আমার ক্যারিয়ারে দেখা যাচ্ছে, আমি এক রান নেইনি। ছয় মারতাম। আমি ওই ধরনের ক্রিকেট পছন্দ করতাম, যেটা এখন হচ্ছে।'
এমএএন/এমএমআর/পিআর