ঝালকাঠিতে আশার আলোয় আলোকিত প্রাথমিক শিক্ষা


প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

আশা’র আলোয় আশানুরূপ আলোকিত করতে ঝালকাঠি জেলায় ৯০টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করছেন বেসরকারি সংস্থা আশা। প্রতিটা কেন্দ্রে যোগ্যতাভিত্তিক স্থানীয়ভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষককে মনিটরিং করছেন ব্রাঞ্চ সুপারভাইজার। গ্রামের হতদরিদ্র, অবহেলিত ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে আশা।

গত বছর জেলার চারটি শাখায় শিক্ষার্থী ছিল এক হাজার ৬৯৮ জন। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে রয়েছে দুই হাজার ৩০৭ জন। এতে দেখা যায়, ক্রমান্বয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে, পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীর ঝড়ে পড়ার সংখ্যা কমছে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পূর্বেই ঝরে পড়া রোধকল্পে এবং প্রাথমিক শিক্ষার কার্যকর উন্নয়নকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে `আশা` ২০১১ সালে নিজস্ব আর্থয়নে প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে।

জেলা ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আশার প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমে জেলায় ছয়টি শাখার মাধ্যমে ৯০টি কেন্দ্রের দুই হাজার ৩০৭ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থার চেয়ে আশার কার্যক্রমটি ব্যতিক্রম।

প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি বই দিয়ে পাঠদান করানোর ফলে শিক্ষার্থীদের তাদের বিদ্যালয় গিয়ে শ্রেণি শিক্ষককে নতুন করে পড়ে পড়া দিতে হয় না। পড়া না পারার কারণে কোনো রকম লজ্জার সম্মুখীন হতে হয় না। বন্ধুসুলভ আচরণে পাঠদান করানোয় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহী হচ্ছে।

জেলার শিশু সংগঠক নার্গিস সুলতানা বলেন, সত্যিই আশার শিক্ষা কার্যক্রম প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার অনেক কমিয়ে আনবে। আশার মতো অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরও শিশুদের জন্য এরকম ভালো কিছু করা উচিৎ।

আতিকুর রহমান/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।