অ্যাশেজে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট
এবারের অ্যাশেজ দ্বৈরথ এক টেস্ট পেরিয়েছে। নিজেদের দুর্গ ব্রিসবেনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় দিয়েই শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে অ্যাডিলেড ওভালে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাদের। চ্যালেঞ্জটা তো আসলে দুই দলেরই। অ্যাশেজে এর আগে কখনোই যে দিবা-রাত্রির টেস্ট হয়নি।
দিবা-রাত্রির এই টেস্টেও অবশ্য পরিষ্কার ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াই। এর আগে, ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির তিনটি টেস্ট খেলেছে তারা। সব ক’টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি। আর অ্যাডিলেড ওভালে ২০১০ সালের পর হারেনি অজিরা।
টেস্ট সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও অবশ্য দিবা-রাত্রির টেস্টের দলগত পরিসংখ্যান পিছিয়ে রাখবে না ইংল্যান্ডকেও। গোলাপী বলে তারা একটাই টেস্ট খেলেছে, চলতি বছর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ক্যারিবিয়দের ইনিংস এবং ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় ক্রিকেটের জনকরা। রাতের আলোতে স্টুয়ার্ট ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসনের পেস বলতে গেলে ‘আনপ্লেয়াবল’ ছিল।
এক টেস্ট পিছিয়ে পড়ার পর দিবা-রাত্রির এই টেস্টকে ঘিরে আশার জাল বুনতে পারে ইংলিশরা। তাদের প্রথম টেস্টের ইতিবাচক দিক ছিল, জেমস ভিন্সের ব্যাটিং কারিশমা। তার মধ্যে প্রথম ইনিংসে তারা লড়াই করার মত পুঁজি পেয়েছিল জো রুট আর অ্যালিস্টার কুক ব্যর্থ হওয়ার পরও। দ্বিতীয় টেস্টে তারা জ্বলে উঠলে ফলটা অন্যরকম হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া মানসিকভাবে এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে নিজেদের পারফম্যান্সকে দশে দশ দিতে পারবেন না স্টিভেন স্মিথ। নিজেদের দুর্গেও প্রথম তিন দিনে দাপট দেখাতে পারেনি তার দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয়ে না পড়লে ম্যাচ বের করে আনা কঠিনই হতো স্বাগতিকদের।
সবমিলিয়ে জমজমাট এক লড়াই-ই বোধ হয় অপেক্ষা করছে অ্যাডিলেড ওভালে। অস্ট্রেলিয়ার চোখ মর্যাদার সিরিজে এগিয়ে যাওয়ায়, আর ইংল্যান্ডের সমতায় ফেরায়।
এমএমআর/পিআর