কোয়ার্টারের বাধা টপকাতে চান রোমান সানা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

দেশের আরচারিতে এখন বড় মুখ এখন রোমান সানা। বৃহস্পতিবার জাতীয় দল ঘোষণার পর মিডিয়ার আগ্রহেও বেশি ছিলেন খুলনার এ তীরন্দাজ। কারণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা পারফরমার যে রোমান সানা, খেলেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। ঘরের মাঠে নিজের সেরাটাও ছাড়িয়ে যেতে চান তিনি।

২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে রোমান সানা হেরেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম হাঙ্কের কাছে। কোরিয়ান ওই আরচার তখন ছিলেন র্যাংকিংয়ে এক নম্বর।

‘আমি রিকার্ভেই খেলেছিলাম। পাঁচটা ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে আসতে হয়। ইরাক, কাজাখস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড ও চীনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠি। কোয়ার্টারে কোরিয়ার সঙ্গে ৪-৬ ব্যবধানে হেরে যাই। এবার আমার লক্ষ্য সেমিফাইনাল। আরচারিতে আবহাওয়া একটা ফ্যাক্টর। বিশেষ করে বাতাস। এ সব অনুক‚লে থাকলে ভালো করা সম্ভব’-বৃহস্পতিবার বলছিলেন রোমান সানা।

ঘরের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টই রোমান, ‘এবার আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। আগে এ ধরনের প্রস্তুতি কখনই পাইনি। নিজস্ব একটা মাঠ ও ভালো থাকার জায়গা পেয়েছি। সব মিলিয়ে আশাবাদী আমরা টুর্নামেন্টে ভালো ফল করতে পারব।’

কোচ নিশিথ দাসের প্রত্যাশার সঙ্গে রোমান সানাও সুর মেলালেন। ‘আসলে সেমিফাইনালে যাওয়া অসম্ভব না। তবে একটা ঘাটতি আমাদের রয়ে গেছে। টঙ্গীতে অনুশীলন ভালো হলেও ম্যাচ ভেন্যুতে অন্তত ১০ দিনের মতো সে সুযোগটা পেলে ভালো হতো। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চারিদিকে আটকানো। এখানে বাতাসটা ঘুরবে। জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল বাতাস। মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে পারলে লক্ষ্যটা (এইম) সম্পর্কে একটা পূর্ব ধারণা পেতাম। এই একটা বিষয় নিয়েই কিছুটা চিন্তিত আছি’-বলছিলেন দেশসেরা এ আরচার।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টাও করেছেন রোমান সানা, ‘এখানে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন আছেন, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন আছেন। এ ধরনের টুর্নামেন্টে পদক পাওয়া অনেক কঠিন। আমিতো মনে করি অলিম্পিকের চেয়েও কম কঠিন নয়। কারণ এশিয়ার সব সেরা সেরা দল এখানে অংশ নেয়। এশিয়াই তো রাজত্ব করে অলিম্পিকে। সবাই এই টুর্নামেন্টে খেলে। এক নম্বর খেলোয়াড় কিম উ জিন, কু আন চান (অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন)। তিনিও আছেন।’

দেশসেরা এই আরচার এক সময় ফুটবল-ক্রিকেটও খেলতেন। আরচারি খেলতে বছর পাঁচেক ধরে। লেখাপড়া করেছেন নিজ জেলাতেই। কিরগিজস্তানে রিকার্ভ ফাস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছেন দেশের সম্ভাবনাময় এ আরচার।

আরআই/এমএমআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।