দ. আফ্রিকাকে ১০০ রানের টার্গেট দিয়েছে বিসিবি একাদশ
ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ. আফ্রিকাকে মাত্র ১০০ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে বিসিবি একাদশ। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারেই ৯৯ রানে গুটিয়ে যায় বিসিবির ইনিংস। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বিসিবি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস কিছুটা দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। এছাড়া শুভাগত হোম এবং সোহাগ গাজী ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের কোঁঠায় যেতে পারেননি।
শুক্রবার ফতুল্লার খানসাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি একাদশ। তবে কাইল অ্যাবটের বোলিং তোপে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করে পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশ প্রথম বাউন্ডারি পায়। কাইল অ্যাবটের করা তৃতীয় ওভারে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় বিসিবি একাদশ। তার ওভারের দ্বিতীয় বলে রনি তালুকদার এবং শেষ বলে এনামুল হক বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন।
অষ্টম ওভারে অ্যারন ফাঙ্গিসোর বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন সৈকত আলী। তবে অপর প্রান্তে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস দায়িত্ব নিয়ে খেললেও ডেভিড অয়াইসের বলে লং অনে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত পরিনত হন। আউট হবার আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৯ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১২তম ওভারে এডি লীর গুগলিতে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। পরের ওভারেই ডেভিড অয়াইসের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন শুভাগত হোম। ১৯ বলে ২ চারে ১৮ রান করেন তিনি।
১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে সোহাগ গাজী জেপি ডুমিনির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন। তবে ডুমিনির আগের দুই বলে একটি চার এবং ছক্কা মারেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ৮ বলে করেন ১৩ রান।
পরের ওভারে অ্যারন ফাঙ্গিসোর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাহমুদুল হাসান বিদায় নেন। এরপর ডেভিড অয়াইসের বলে অ্যাবটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন আব্দুর রাজ্জাক। আবুল হাসান রাজু শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে ৯৯ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
দক্ষিন আফ্রিকার পক্ষে ডেভিড অয়াইস ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাবট এবং ফাঙ্গিসো দুটি করে উইকেট পান।
আরটি/এআরএস/এমএস