নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিনব উদ্ভাবন
উন্নতমানের বায়োগ্যাস ও জৈব সার উদ্ভাবন করলেন যশোর জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুর রহমান। ‘প্রযুক্তি করতে পারে দারিদ্র্য বিমোচন’ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত প্রযুক্তির বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করলেন দেশের এ ক্ষুদে বিজ্ঞানী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন বর্জ্য ফেলে দেয়া হয়। আর এ ফেলে দেয়া বর্জ্য উদ্ভাবিত বায়োগ্যাস প্লান্টের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করেছে আব্দুর রহমান।
আবদুর রহমানের উদ্ভাবিত উন্নত প্রযুক্তির এই বায়োগ্যাস প্লান্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ফেলে দেয়া প্রতিদিনের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দেশের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। অত্যন্ত কম খরচে উন্নতমানের দাহ্য গ্যাস ও জৈব সার পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে কমবে পরিবেশ দূষণও।
আব্দুর রহমানের এ প্লান্টে নতুন সংযোজন হয়েছে তিনটি অংশ। ক্রাশিং চেম্বার, গ্যাস সাকশন এবং কমপ্রেসর ও কমপ্রেসড গ্যাস চেম্বার। প্রকল্পে ব্যবহৃত গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের কারণে উৎপাদিত গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে প্রত্যেকের বাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের সাহায্যে সিএনজি আকারে উৎপাদিত গ্যাস যানবাহনে ব্যবহার করা যাবে।
যশোর জিলা স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী আবদুর রহমান সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এছাড়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় চার সেকশনে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জনের পাশাপাশি নবম শ্রেণিতে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছে।
আবদুর রহমান দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে উন্নত প্রযুক্তি বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঢাকায় আবদুর রহমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এসআইএস/আরএস/আরআইপি