সততার প্রশ্নে ইতিবাচক যুবরা : টিআইবি


প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ৩০ জুন ২০১৫

সততা ও নৈতিকতার প্রশ্নে দেশের যুবদের একটা বড় অংশ ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। যুবরা বলছেন, অসৎ ব্যক্তির চেয়ে সৎ ব্যক্তির জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শুধু তাই নয়, যুবদের কাছে ধনী হওয়ার চাইতে সৎ হওয়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
 
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর ২২ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত পরিচালিত ‘জাতীয় যুব-সততা জরিপ ২০১৫’ শীর্ষক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টার-এ টিআইবি’র সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অসৎ ব্যক্তির চেয়ে সৎ ব্যক্তির জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিষয়টিতে সম্পূর্ণভাবে একমত ৫৪ শতাংশ নারী ও ৫৬ শতাংশ পুরুষ। আংশিক একমত নারী ১২ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পুরুষ।
 
তবে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করার সংখ্যাও একেবারে কম নয়। ৩০ শতাংশ নারী ও ২৬ শতাংশ পুরুষ এই বষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। অন্যদিকে ধনী হওয়ার চাইতে সৎ হওয়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে ৭৩ শতাংশ নারী ও পুরুষ সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করেছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ ও নিজের পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বেআইনি কাজ করাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে যুবরা। কোনো নেতার মাধ্যমে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিবারের জীবন মান উন্নত করাও নেতিবাচক হিসেবে মানছে যুবরা।
 
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে অর্থ দাবি করা, যোগ্য লোকদের চাকুরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা, উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক কিংবা নার্সকে ঘুষ দেয়া, সন্তানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষককে উৎকোচ দেয়াও গাড়ী রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের বিষয়কে নেতিবাচক হিসেবেই জানিয়েছে যুবরা।
 
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো পরিস্থিতিতে আইন ভঙ্গ না করা, কখনো মিথ্যে না বলা, প্রতারণা না করা, দুর্নীতি না করা, কোনোভাবেই ঘুষ না নেয়া মানুষ ‘সৎ মানুষ’ হিসেবে ধারণা যুবদের। কোনো পরিস্থিতিতে আইন ভঙ্গ করতে চায় না এমন নারী ও পুরষের হার ৯৭ শতাংশ। তবে পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগীতা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন ভঙ্গ করে ৩০ শতাংশ নারী ও পুরুষ।
 
ঘুষ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুষ ও দুর্নীতি রীতিতে পরিণত হয়েছে, এক্ষেত্রে ঘুষ না নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মনে করেন ১৬ শতাংশ নারী। অর্থের পরিমাণ বেশি হলে ঘুষ নেয় অন্যথায় নেয় না ৩ শতাংশ নারী ও ২ শতাংশ পুরুষ।

একজন যুবক কিংবা যুবতির সততার অভাব বিষয়টি বড় ধরণের সমস্যা বলে মনে করেন ৯৮ শতাংশ নারী ও পুরুষ। পরিবার, দেশ, অর্থনীতিতেও প্রায় একই মাত্রায় ক্ষতিকারক বলে মনে করেন যুবরা।

প্রতিবেদন প্রকাশকালে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ও নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
 
টিআইবি’র এ জরিপের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের ব্যক্তিদের “যুব” হিসেবে নির্ধারণ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য ও বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ত্রিশোর্ধদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জেইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।