কোকেন তদন্তে আসছে দুই বৃটিশ বিজ্ঞানী
চট্টগ্রাম বন্দরে সান ফ্লাওয়ার তেলের সঙ্গে তরল কোকেন আমদানির ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে আসছে দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। কোকেন সনাক্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করবে দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। এছাড়া তারা ১৮৫ কেজি তেলমিশ্রিত কোকেন থেকে কোকেন আলাদা করবেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তেলের সঙ্গে কোকেন সনাক্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তে রোববার চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহাম্মদের নেতৃত্বাধীন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন, সহকারি পরিচালক ওমর ফারুক ও সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আমিনুর রহমান। তদন্ত কমিটির প্রধান হোসাইন আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, বৃটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে তার কথোপকথনের পর কোকেন পরিমাণ নির্ণয়ে দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অন্যদিকে সান ফ্লাওয়ার তেলের সঙ্গে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ওই তেলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
জানা গেছে, সান ফ্লাওয়ার তেল ঘোষণায় কোকেন আনা ‘আমদানিকারক’ খান জাহান আলী এন্টারপ্রাইজ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারীর ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেলের খালাতো বোনের জামাই ফজলুকে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রেফতার করেছিল বৃটিশ পুলিশ। তার মাধ্যমে কোকেনগুলো বাংলাদেশে আনা হয় বলে জানিয়ে ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী।
এছাড়া ফজলুর বন্ধু ভারতীয় বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক মুকুল এ ঘটনায় জড়িত বলে তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তে বিট্রিশ সরকার সহযোগিতা করছে বলে জানা গেছে।
অপর এক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারপোলের তথ্যেও ভিত্তিতেই বন্দরে ভেতর কন্টেইনারে তল্লাশি চালিয়ে এসব ড্রামভর্তি কোকেন জব্দ করা হয়েছিল।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, কোকেন আটকের ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমকে (ইউএসওডিসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরে রাখা কন্টেইনারটির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরএস/এমএস