ব্রাজিলের বিপক্ষে ডারলিসের গোল : আনন্দে চাচার মৃত্যু
উৎসব করার কথা ছিল প্যারাগুয়ের ফরোয়ার্ড ডারলিস গঞ্জালেসের। কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও করতে পারলেন না সদ্য নায়ক হওয়া এই খেলোয়াড়। গঞ্জালেসের গোলের আনন্দ সইতে না পেরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তার চাচা ইরাজাবেল মেনুয়েল।
টিভিতে বন্ধুদের নিয়ে ভাতিজার খেলা দেখতে বসেছিলেন চাচা ইরাজাবেল মেনুয়েল। ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটেই রবিনহোর দেয়া গোলে পিছিয়ে পড়ে প্যারাগুয়ে। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান ডারলিস গঞ্জালেস। এরপর টাইব্রেকারে শেষ কিকটিও নিয়েছিলেন তিনি। তার কিক জালে জরালে উল্লাসে মাতে প্যারাগুয়ানরা। ডারলিসের চাচাও উল্লাসে ফেটে পড়েন। কিন্তু তার মাত্রা এতই বেশি হয় যে হার্টঅ্যাটাক করে চিরবিদায় নেন মাত্র ৪৪ বছর বয়েসেই।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর ড্রেসিং রুমে ফিরেই দুঃসংবাদটা শোনেন ডারলিস। প্যারাগুয়ের জয়ের আনন্দে মারা গেছেন তাঁর চাচা। তার জয়সূচক গোলটি ছিল তারা চাচার মৃত্যুর কারণ। হতবিহ্বল হয়ে পড়া গঞ্জালেস টুইটারে লিখেছেন, ‘আজকেই কেন চাচা? আমি তোমাকে এক আনন্দের উপলক্ষ্য দিলাম, সে জন্যই কি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।’
৩০ জুন ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকান ফুটবলের আরেক পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।
আরটি/এআরএস/আরআইপি