গ্রিসে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চুক্তি প্রশ্নে গণভোট ৫ জুলাই
গ্রিস বিদেশি ঋণদাতাদের সঙ্গে একটি বিতর্কিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চুক্তির বিষয়ে আগামী ৫ জুলাই গণভোটের আয়োজন করবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি সিপরাস শনিবার এ ঘোষণা দেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বিতর্কিত ওই পরিকল্পনাকে ‘অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের উত্থাপিত ‘অসহনীয়’ কৃচ্ছতা ব্যবস্থারও নিন্দা জানিয়েছেন।
গ্রিস সরকার এর আগে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিল। গ্রিসের ঋণ খেলাপি হওয়া ঠেকাতে বিদেশি ঋণদাতারা ওই প্রস্তাব দিয়েছে।
গ্রিসকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)’র এক দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে অথবা দেশটিকে একক মুদ্রা ও ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।
টেলিভিশন বক্তৃতায় সিপরাস বলেন, ‘এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এটা সকল পক্ষের জন্য যুতসই হয়নি। বরং এটা গোটা জনগোষ্ঠীর জন্য অবমাননাকর।’
তিনি বলেন, ‘লোকজনকে অবশ্যই যেকোন ব্লাকমেইলিংয়ের ব্যাপারে মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
গ্রিস পেনশন ও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন হ্রাসের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আইএমএফ শুধু রাজস্ব বৃদ্ধি নয়, বেশি হারে ব্যয় হ্রাসের জন্য গ্রিসকে চাপ দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা চায় গ্রিস অতিরিক্ত ভ্যাট আদায় করুক। তবে গ্রিসের ভাষ্য হল, তারা ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ করবে না। এছাড়া দেশটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ের দাবির বিরোধিতা করছে।
গ্রিসের ঋণ সংকট নিয়ে ব্রাসেলসে আলোচনার কয়েক ঘণ্টা পর সিপরাস টেলিভিশনে ভাষণ দেন। ব্রাসেলস আলোচনায় আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা গ্রিসকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য পাঁচ মাস অতিরিক্ত সময় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
শনিবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রস্তাবটি মেনে নিতে গ্রিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মরকেল। তবে পাঁচ জুলাইয়ের গণভোটের পর গ্রিস এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
একে/আরআইপি