রোজা পালনে আমাদের প্রাপ্তি কতটুকু!


প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ২৭ জুন ২০১৫

রহমতের দশকের শেষ পর্যায়ে এসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উপলব্দি ও প্রাপ্তিটা কী? মুসলমান নিজেকে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। রমজানপূর্ব জীবন-যাপনে পরিবর্তন অনুভব হচ্ছে কি-না তা প্রত্যেক রোজাদার মাত্রই বলতে পারে। কোনো মুসলমান যদি রহমতের দশকে পবিত্র রমজানের শিক্ষা নিজের মধ্যে ধারণ করতে না পারে; এখনো অনেকগুলো রোজা বাকি আছে, যা থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সময় পাওয়া যাবে। সুতরাং প্রত্যেক বনি আদম নিজেদেরকে কিছুটা যাচাই-বাচাই করে নিতে পারে।

আসুন আমরা নিজেরাই নিজেদের একটা পরীক্ষা নিই যে, রহমতের দশকে রোজাদারদের অর্জন কতটুকু। কেননা কিয়ামাতের ময়দানে প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলনামা নিজ হাতে নিয়ে আল্লাহর সামনে ভালো ও মন্দের ইশতেহার ঘোষণা করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ইক্বরা কিতা-বাকা কাফা- বিনাফসিকাল ইয়াওমা অলাইকা হাসিবা অর্থাৎ ‘পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব (যে কাজগুলো তুমি দুনিয়া করে এসেছ)। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমিই যথেষ্ট। (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ১৪)। সুতরাং আজকের নিবেদন জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য ‘রমজানের অর্জন ও ভাবনার বিষয়’ নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য পর্যালোচনা-

নিজের কাছে নিজের জবাবদিহি-
১. রমজান উদযাপন- আমরা কি দুনিয়ার সকল প্রকার খারাপি থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে রোজা পালনের মাধ্যমে আমিত্ব পরিহার করে আল্লাহর ক্ষমা অর্জন করতে পেরেছি? যদি ক্ষমা অর্জন করতে না পারি তবে রমজান আমাদের জন্য শুধু আনুষ্ঠানিকতা বৈ কিছুই নয়। এই ভাবনা আমাদেরকে রমজানের বাকি রোজাগুলো যথাযথ আদায়ে অনুপ্রাণিত করবে;

২. জবানের হেফাজত- প্রত্যেক রোজাদারের উচিত তার জিহ্বাও যেন রোজা রাখে; কারণ আমরা জিহ্বা দ্বারা গীবত-পরনিন্দা, চোখলখুরি, মিথ্যা ও অশ্লীল কথা বলে থাকি। আমারা কি এগুলো বর্জন করতে পেরেছি? কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে নোংরা কথা ও তার আমল পরিত্যাগ করতে পারলো না, সে ব্যক্তির পানাহার ত্যাগের মাঝে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারি, ইবনু মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)

৩. আত্মা বা হৃদয়ের রোজা- মানুষের দেহের রাজা হচ্ছে- হৃদয় বা আত্মা। এই হৃদয় বা আত্মা যখনই রোজা রাখবে, তখনই তা সারা শরীরে কার্যকর হবে। রোজাদার কি তার আত্মা বা হৃদয়ে আল্লাহর সাথে শিরক, কুসংস্কার, নোংরা চিন্তা-ভাবনা, অহংকার ও দাম্ভিকতা, কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা ইত্যাদি থেকে মুক্ত? কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক দাম্ভিক অংহকারী জাহান্নামি। (বুখারি ও মুসলিম)

৪. চোখের রোজা- মহান আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত জিনিস দেখা হতে বিরত থেকে রোজাদারের চোখও রোজা রাখে। তাহলে রোজাদার কি তার চোখের হারাম তথা অশ্লীল কিছু দেখা হতে বিরত রয়েছে? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে এরশাদ করেন- মুমিন পুরুষদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি এবং নিজ নিজ যৌনাঙ্গের হিফাজত করে; এটিই তাদের জন্য উত্তম। আর মুমিন নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং নিজ নিজ যৌনাঙ্গের হিফাজত করে। (সুরা আন নুর : আয়াত ৩০ ও ৩১)

৫. কানের রোজা- রোজাদার ব্যক্তির কানও রোজা রাখে। সে যখন অশ্লীল, বেহুদা ফাহেশা কথা-বার্তা শোনা থেকে তার কানকে বিরত রাখে। সুতরাং আমরা কি আমাদের কানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন- ‘কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- ওদের প্রত্যেকের বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হবে’। (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৬)

৬. পেট বা পাকস্থলীর রোজা- হালাল খাবার ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। আমরা যে আয়ের খাবার খাচ্ছি, সে আয়ের উৎস কী? তা যদি হালাল না হয়; এবং রোজাদার সেহরি এবং ইফতারে হারাম খাবার খায়। তাহলে তার পেট তথা গোটা ইবাদতই কবুল হবে না। সুতরাং বুঝা গেল পেট বা পাকস্থলীও রোজা রাখে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আদেশ করে বলেন, হে মুমিনগণ! আমি তোমাদেরকে যে সব রুজি দান করেছি তা হতে বস্তু আহার করো এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা করো; যদি তোমরা কেবল তাঁরই দাসত্ব করে থাক। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৭২)

এভাবে শরীরে প্রত্যেকটি অঙ্গেরই রোজা রয়েছে- এক কথায় প্রথমত আমার আমাদের পা-থেকে মাথা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ শরীরে রোজার বাস্তবায়ন কতটুকু করতে পেরেছি তাই যদি ভেবে দেখি তবেই বুঝতে পারব আমরা কতটুকু সফলকাম।

এখন দেখবো আমাদের কর্মের পরিবর্তনের দিকগুলো-
১. ইফতার- রমজান মাস এলেই আমরা ইফতারের জন্য উন্নতমানের দামি দামি খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ি; ইবাদাত-বন্দেগির পরিবর্তে সারাটা দিন কোথা থেকে ইফতারি সংগ্রহ করতে হবে; কত আইটেম বাড়ানো যায় ইত্যাদি কাজে পেরেশান থাকি; এগুলো আমাদের রোজাকে গুরুত্বহীন করে দেয়; আমরা রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য ভুলে খাবারের লোভ ও প্রবৃত্তি বৃদ্ধি করতে থাকি। যা রোজাদারের জন্য অপচয় এবং সীমা লঙ্ঘন। আমরা কি পানাহার ত্যাগের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পেরেছি? অথচ কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না ।’ (সুরা আ’রাফ : আয়াত ৩১)

২. সেহরি- আর সেহরিতে আমরা উদরপূর্তি করে খাবার খাই যাতে করে দিনের বেলায় আমাদের ক্ষুধা অনুভব না হয় অথচ নিয়ম হচ্ছে আমরা এমন পরিমাণ খাবার খাবো যাতে আমাদের খাবারের কিছু চাহিদা থেকে যায়; এবং রোজার মাসের খাদ্যাভ্যাস যেন সারা বছর ধরে পালন করে সুস্থ থাকা যায়। আমরা কি নিয়মানুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে পারছি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আদম সন্তান তার উদর ব্যতীত আর কোনো পাত্রই এতো খারাপভাবে পূর্ণ করে না; অথচ আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ সোজা রাখার জন্য এক মুঠো খাবারই যথেষ্ট। যদি তোমাদেরকে উদর পূর্ণ করতেই হয়, তবে, এক-তৃতীয়াংশ খাবার দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা আর অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বায়ু দ্বারা পূর্ণ করো।’ (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

৩. দিনের সময়- এই পবিত্র মাসের দিনের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগিতে কাটানোই মুমিন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এর অর্থ এই নয় যে, সকল কাজ-কর্ম ত্যাগ করে শুধু তাসবিহ-জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে বসে থাকতে হবে; দুনিয়ার সব কাজই ইবাদাত যদি আল্লাহর নামে প্রত্যেকটি কাজে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে করে থাকে। অফিস-আদালত ফাঁকি দিয়ে নামাজের নাম করে মসজিদে এসে বসে বসে নফল নামাজ পড়লে আপনার ইবাদাত হবে না। বরং ফরজ ও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আদায়ের পর কর্তব্য কাজই হচ্ছে উত্তম ইবাদাত। আমরা দিনের বেলার এই কর্তব্য কাজগুলো কি সঠিকভাবে আদায় করছি? যারা বেকার তাদের জন্যও দিনের বেলায় অধিক ঘুম, সিনেমাসহ অন্যান্যভাবে সময় কাটানোও ঠিক নয়। কোরআনের শুদ্ধ উচ্চারণ শিক্ষাগ্রহণ অথবা শিক্ষা দেয়া; বাবা-মার কাজে সহযোগিতা করা; কোরআন তেলাওয়াতসহ জিকির-আজকার করা উচিত।

৪. ধূমপান ও নেশা- ধূমপান ও মাদক ইসলামে বর্জনীয় কাজ। এই নেশা গ্রহণে মানুষের শারীরিক, আর্থিক ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এটা যাবতীয় নেশা ও মাদক সামগ্রীকে অন্তর্ভুক্ত করে যেমন- বিড়ি, সিগারেট, পাইপ, সিসা, হুঁক্কা, গাঁজা, হিরোইনসহ যাবতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্য। যা রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসেও নিষিদ্ধ। তথাপিও রোজাদার ব্যক্তি রমজান মাসের রোজাকে উপলক্ষ করেও এই ক্ষতিকর কাজকে পরিহার করতে পারে না। যা এই রমজান মাসে পরিহার করার সুবর্ণ সুযোগ। আমরা কি এই ক্ষতিকর কাজগুলো বর্জন করতে পেরেছি? এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের জন্য যাবতীয় পাক জিনিসকে হালাল ও নাপাক জিনিসসমূহকে তাদের ওপর হারাম ঘোষণা করো’। (সুরা আ’রাফ : আয়াত ১৫৭) সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে- এটা শুধু যে ধূমপায়ীর জন্য ক্ষতিকর- তা নয়, বরং তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদেরও ক্ষতিকর।

৫. ইফতারের সময় আড্ডা- রোজাদারের দোয়া ইফতারির সময় আল্লাহর নিকট কবুল হয়। অথচ বর্তমানে বিভিন্নস্থানে ইজতিমায়িভাবে ইফতারের রেওয়াজ চালু হয়েছে। এই সময় অনেকেই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ না করে শুধু খোশগল্পে সময় কাটায়। আমরা কি এই ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের সময়কে কাজে লাগিয়েছি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তিন শ্রেণির ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না- ১. একজন পিতার দোয়া; ২. রোজাদার ব্যক্তির দোয়া; ৩. মুসাফিরের নামাজ।’ (বায়হাকি)।

৬. রোজা রেখে নামাজ পরিত্যাগ- রোজাদার ব্যক্তি যদি নামাজ না পড়ের তাহলে তার রোজা গ্রহণযোগ্য নয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজ হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্যকারী।’ (মুসলিম); তাই শুধু রোজাই নয়, নামাজ আদায় না করলে কোনো ইবাদতই কবুল হয় না। আমরা কি রোজা রেখে ফরজ নামাজগুলো আদায় করতে পেরেছি?

৬. রোজা রেখে পর্দা না করা- মুসলিম রমনীদের জন্য পর্দা না করা কবীরা গুনাহ। তাইতো মুসলিম রমনীদেরকে শালীন পোষাক পরিধান করে রোজার মাহাত্ম অর্জনে সচেষ্ট হওয়া ফরজ ইবাদত। আল­াহ বলেন- ‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে, সাধারণতঃ যা প্রকাশমান। তাছাড়া তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বা চাদর (আবরণী) বক্ষদেশের উপর পর্যন্ত রাখে এবং তারা তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত দাসি, যৌনাকাঙ্খামুক্ত পুরুষ, ও বালক; যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত কারো নিকট তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করবে না; তারা তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা করবে না। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল­াহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা আন নুর : আয়াত ৩১) সুতরাং হে নারী রোজাদার মা ও বোনেরা আপনারা কী পর্দা পালন তথা শালিনতা বজায় রেখে রোজা আদায় করতে পেরেছেন?

৭. ঈদের কেনাকাটায় রোজার অবহেলা- রোজাদার ব্যক্তি ঈদের ব্যস্ততায় ইবাদাত-বন্দেগি, লাইলাতুল ক্দর তালাশ না করে কেনাকাটায় লিপ্ত হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। হ্যাঁ, ঈদের কেনাকাটা করতে হবে; তবে সেটা রোজার পরিপূর্ণ হক আদায় করার পর আমরা বাকি কাজ-কর্ম করবো। কিন্তু আমরা কি তা করতে পেরেছি? হযরত আয়শা রাদিয়াল্লাহ আনহা হতে বর্ণিত, ‘যখন রমজানের শেষ দশক আরম্ভ হতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামা-কাপড় শক্ত করে বেঁধে ইবাদতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের অন্যদেরকেও ইবাদতে উৎসাহিত করতেন। (বুখারি ও মুসলিম)

সর্বোপরি কথা হচ্ছে- আমরা রোজার হক আদায় করার জন্য হাদিসে জিব্রিলটিকে আমাদের উৎস হিসেবে গ্রহণ করবো- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জিব্রাইল আলাইহিস সাল্লাম আমাকে বলেছেন, আল্লাহ ওই ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুণ যার নিকট রমজান মাস আসলো এবং তার গুনাহসমূহ মাফ করাতে পারলো না, তখন আমি বললাম, ‘আমিন’ (কবুল করুন)।

তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ ওই ব্যক্তির নাকও মাটিতে ঘষুন যে জীবদ্দশায় তার পিতামাতার একজনকে অথবা উভয়কে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ তাদের সেবা করার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশের অধিকার পেল না, তখন আমি বললাম, আমিন (কবুল করুন)। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ ওই ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন, যখন কোনো ব্যক্তির সামনে আপনার নাম উচ্চারণ করা হয় কিন্তু তখন সে আপনার প্রতি সালাম (দুরুদ) বর্ষণ করে না আর আমি বললাম, আমিন (কবুল করুন)। (তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ)

আমরা যদি এখনো উপরোক্ত কার্যাবলীতে সম্পন্ন করতে না পারি তবে রমজানের বাকি রোজাগুলোতে তা পালনে সচেষ্ট হবো। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

তথ্যসূত্র : কোরআনুল কারিম, সহিহ বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, ইবনু মাজাহ, বায়হাকি।

জাগো নিউজের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কোরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।