একশ’ পেরিয়েছে বাংলাদেশ
একশত রানের কোঠা পার করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বহুযুদ্ধের অভিজ্ঞ সৈনিক মুশফিকুর রহিম তরুণ তুর্কি লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামত করে যাচ্ছেন। এর আগে তামিমের দ্রুত বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন সৌম্য। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসকে প্রায় একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ৪০ রানেই থামে তার ইনিংস। কুলকার্নির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন টাইগার এই ব্যাটসম্যান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ১৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১১০ রান। লিটন দাস ৩১ এবং মুশফিকুর রহিম ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে ভারতের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ধবল কুলকার্নির বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে বাংলাদেশকে বেশ ভালো চেলেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছে ভারত। আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়ার ফলে ভারতকে বাংলাওয়াশ করতে টাইগারদের প্রয়োজন ৩১৮ রান।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ভারত। তবে সপ্তম ওভারে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায়।
এদিনও দিনের শুরু করেন তরুণ মুস্তাফিজ। তার ভয়ংকর অস্ত্র কাটারে এবারো খেলতে ব্যর্থ হন রোহিত। ব্যাটের কানায় লেগে কিপার লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন রোহিত শর্মা। গত দুই ম্যাচেও মুস্তাফিজের বলেই বলি হয়েছিলেন রোহিত।
মুস্তাফিজের পর বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ভারতের পোস্টার বয় বিরাট কোহলিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কোহলির বিদায়ের পর ধাওয়ান-ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে ভারত। মাত্র ১৭.৩ ওভারেই শত রানের কোঠা পূর্ণ করে তারা।
২৭তম ওভারে বাংলাদেশের পক্ষে আঘাত হানলেন অধিনায়ক মাশরাফি। নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শেখর ধাওয়ান। তবে এর আগে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশত। ৭৩ বলে ১০ চারে ৭৫ রান করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
এরপর ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের হাল ধরেন। আম্বাতি রাইডুকে সঙ্গে নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তিনি। তবে ৪৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে মাশরাফির বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন রাইডু। দুই ওভার পরেই আবার আঘাত হানেন মাশরাফি। তবে এই উইকেটে কৃতিত্ব অনেকটাই মুস্তাফিজুরের। সীমানা থেকে দৌড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। ৭৭ বলে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন ধোনি।
এরপর রায়নার ২১ বলে ৩৮ রানে তিনশত রানের কোঠায় পৌঁছে ভারত। ৪৯তম ওভারে রায়নাকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পান মুস্তাফিজ। এই উইকেটে তিন ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে রায়ান হ্যারিসকে ছুলেন তিনি। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিস।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি ৭৬ রানে ৩ উইকেট পান। মুস্তাফিজুর রহমান ৫৭ রানে পান ২ উইকেট।
আরটি/আরএস