তবুও সন্তুষ্ট এশিয়ান হকির কর্মকর্তা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৭

দশম এশিয়া কাপ হকি শুরু হতে আর মাত্র ৫ দিন বাকি। অথচ টুর্নামেন্ট ভেন্যু মওলানা ভাসানি স্টেডিয়াম এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ফ্লাডলাইট আলো ছড়াচ্ছে, সে আলোয় নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রা। স্কোরবোর্ডও বসে গেছে। চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তবে মূল সমস্যা অন্যান্য সংস্কার কাজে। ফেডারেশনের বিভিন্ন কক্ষ এখনো ভাঙাচোরা। কোনো জায়গায় পা রাখাই দায়। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় কাজের অগ্রগতি ঘুরে ঘুরে দেখলেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের ইভেন্ট অ্যান্ড স্পোর্টস ডাইরেক্টর এলিজাবেথ ফার্স্ট।

ড্রেসিং রুম, আম্পায়ার্স রুম, মিডিয়া বক্সসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ দেখতে গিয়েও গলদঘর্ম হতে হয়েছেন এ অস্ট্রিয়ান ভদ্রমহিলাকে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে তাকে পার হতে হয়েছে লোহালক্কর আর ইটবালুর স্তুপ। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ৫ দিন আগে ভেন্যুর এ অবস্থা দেখে কারোরই সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ ভীন দেশির চোখে উদ্বেগের ছাপ থাকলেও মুখে ঠিকই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। হয়তো সৌজন্যের খাতিরেই মুখে সন্তুষ্টি তার।

টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক মামুনুর রশিদকে পাশে দাঁড় করিয়ে কাজের অগ্রগতি নিয়ে ব্রিফ দিয়েছেন এলিজাবেথ ফার্স্ট। ‘ফ্লাডলাইট তৈরি হয়েছে। আলো জ্বলছে দেখে ভালো লাগছে। এটা পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের। কয়েক সপ্তাহ আগেও আমি যখন এসেছিলাম তখনকার চেয়ে এখন অনেক উন্নতি দেখছি কাজের। অনেক এগিয়েছে কাজ। তবে ৫ দিন বাকি, এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আমি আশা করছি এ কয়দিন গাতি বাড়িয়ে কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা যাবে’- বলেছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তা।

ভিনদেশী কাজ নিয়ে মুখে কোনো অসন্তুষ্টির কথা না বলেও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কপালে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ। ‘এখনো অনেক কাজ বাকি। আমি অনেক কষ্ট করে ভেতরে ঢুকলাম। উপরের কোনো কক্ষই এখনো ঠিক হয়নি। শনিবার থেকে দল আসা শুরু করবে, টুর্নামেন্ট ডাইরেক্টর আসবেন, এশিয়ান হকি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসবেন। তারা এসে যদি এমন দেখেন কী যে হবে বুঝতে পারছি না। সময় নেই কারণ দেখিয়ে ক্রীড়া পরিষদ দেখা গেলো বাকি কাজগুলো আর করছেই না’- বলেছেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক মামুনুর রশীদও মনে করছেন বিষয়গুলোর চিন্তার, ‘কিছু বিষয় এখনও আমাদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলা শুরু হওয়ার পরও যদি কাজ চলে সেটা কারোরই ভালো লাগবে না। বিষয়টা খুব একটা শোভনীয় না। আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম তেমনটা হচ্ছে না। আসলে যারা কাজ করছে তারাও পরিশ্রম করছে। কিন্তু তারা কেন যে পারল না বুঝতে পারছি না। কাজের একটা ডেডলাইনও ছিল। ১ অক্টোবরের মধ্যে বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। সেটা অতিক্রম হয়ে গেলো। তারপরও আশা করছি, টুর্নামেন্টের আগে সব শেষ করতে পারব। এভাবে পরিবেশ থাকবে না।’

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।