৪২৭ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ের প্রত্যয়। সেখান থেকে প্রেরণা নেওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০০ রানেই যায় যায় অবস্থা! শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৮৯ থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ১৬১ রান। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪১৬। আর সোমবার বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিং করল, কে জানে, টেস্টের ২০০ বছরের পুরনো নিয়ম ভেঙে এই মাঠে বাংলাদেশকে চারবার নামিয়ে দেওয়া হলেও ৪০০ করতে পারে কিনা, সন্দেহ থেকেই যায়। যেখানে চন্দরপাল টানা ৩টি ইনিংস দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থেকে খেলে যাচ্ছেন; অথচ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দেখেও শিখছে না। দ্বিতীয় ইনিংসেও ক্যারিয়ারের ৬৬তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় দিনের শেষভাগ যদি বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হতো, তাহলে হয়তো দিন শেষ হওয়ার আগেই ইনিংস হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো। কিন্তু বোধ করি সেটা চাননি স্বাগতিকদের অধিনায়ক নিজেও। অতিথিদের এতটা লজ্জা কীভাবেই বা দেন। তাইতো বাংলাদেশকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিন শেষে ৪২৭ রানে এগিয়ে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ২১৯ রানতো রয়েছেই। এখনও হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। ক্রিজে ব্যাট করছেন চন্দরপাল (৬২) ও ব্লাকইড (৪৩) রানে। পঞ্চম উইকেটে এই দু’জন মিলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন আছেন। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে তারা আবার ব্যাট হাতে নামবেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ও ২য় ইনিংস : ৩৮০ ও ১৯০, ৬৭ ওভার (ব্রার্থহোয়াইট ৪৫, লিওন জনসন ৪১, চন্দরপাল ৬২, জারমেইন ব্লাকউড ৪৩; মাহমুদউল্লাহ ২/৩৭, শফিউল ইসলাম ১/২০, তাইজুল ইসলাম ১/৭৬)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ১৬১, ৬২.৩ ওভার (রিয়াদ ৫৩, তামিম ৪৮; রোচ ৫/৩৩, টেলর ২/৪১, সোলেমান বেন ২/১৯)।