চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা বাড়াতে কুনমিংয়ে প্রদর্শনী
চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী কুনমিংয়ে আগামী ১২ জুন শুরু হচ্ছে তৃতীয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী (সিএসএ) এবং ২৩তম কুনমিং আমদানি ও রফতানি মেলা। চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করাই এই মেলার লক্ষ্য। পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা ১৬ জুন শেষ হবে।
এ বছর মেলার লক্ষ্য হচ্ছে- চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা ও উন্নয়ন জোরদার করা, ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভ জোরদার করা, স্থলভিত্তিক সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট (এমআরইবি) এবং ম্যারিটাইম সিল্ক রোডের (এমএমআর) মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় চীন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ ও পর্যটন সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই প্রদর্শনী অধিক কার্যকর একটি পন্থা হবে।
সিএসএ প্রদর্শনী থেকে প্রদর্শনী আয়োজক পর্যন্ত তার প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্রদর্শনী সুবিধা ভাগাভাগি এবং দ্রুত উন্নয়নে দেশগুলোর সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
ইউনান আন্তর্জাতিক এক্সপো ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৭৫টি দেশে অথবা অঞ্চল তৃতীয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। কুনমিং মেলায় মোট ১৩টি এক্সিবিশন প্যাভিলিয়ন থাকবে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপাল অংশ নিচ্ছে।
এ বছর মেলায় ৬ হাজার ১৫০টি বুথ থাকবে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রায় ৫শ’ কোম্পানি প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। মেলা চলাকালে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার ব্যবসায়ী কাউন্সিল ওয়ার্ক কনফারেন্সের মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় বাংলাদেশ মানবাধিকার সহযোগিতা বৈঠক এবং নারী উদ্যোক্তা গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল সিএসএ এবং দশম চীন-দক্ষিণ এশিয়া ব্যবসায়ী ফোরামে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই কুনমিংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি)-এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রোকেয়া এ রহমান এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম।
আরএস/আরআইপি