বৃষ্টির চোখ রাঙানি চট্টগ্রামেও, দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে শঙ্কা

আরিফুর রহমান বাবু
আরিফুর রহমান বাবু আরিফুর রহমান বাবু , বিশেষ সংবাদদাতা চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘আচ্ছা বৃষ্টি কি ভোগাবে? খেলা ঠিক মত হবে কি? চট্টগ্রাম টেস্টে কী বৃষ্টিই বড় হুমকি?’ বন্দর নগরীর ক্রিকেট অনুরাগীদের সবার মনে এখন ঐ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। শুধু প্রশ্নই নয়। রীতিমত শঙ্কাও এসে ভড় করেছে। কারণ চট্টগ্রামে বৃষ্টি জেঁকে বসেছে। ঠিক যেন ঢাকা টেস্টের আগের অবস্থা!

গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেও ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। আবাহওয়ার পূর্বাভাসে প্রথম চারদিন বৃষ্টির ৮০ থেকে ৯০ ভাগ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। দু'একদিন হালকা কয়েক পশলা বৃষ্টি পড়লেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টে সে অর্থে বৃষ্টি ভোগায়নি। মোদ্দা কথা বৃষ্টির নেতিবাচক প্রভাবে ম্যাচ বিঘ্নিত হয়নি। খেলা ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে। তাও নির্ধারিত পাঁচদিনের একদিন আগেই।

এখন বন্দর নগরিতেও শেষ পর্যন্ত প্রকৃতি সদয় হলেই ভালো। না হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্য হলে চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে চিন্তার কারণ আছে যথেষ্ঠই। ঈদের রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে, কোন সময় মাঝারি বর্ষণ আবার ইলশে গুড়ি বা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। আর সে কারণেই চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে চিন্তা বেশি।

স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের আবহাওয়া রিপোর্টে আগামীকাল (সোমবার) ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা প্রচুর বলে দেখানো হয়েছে। সত্যি সত্যি বজ্রসহ বৃষ্টি হলে টেস্ট বিঘ্নিত হবে দারুণভাবে।

bangladesh

শনিবার গভীর রাতে ভারী বৃষ্টি হলেও রোববার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে যাবার পরও আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। এদিকে টানা বর্ষণে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দু'দলের প্র্যাকটিস বিঘ্নিত হয়েছে। বৃষ্টিতে আউটফিল্ড প্রায় পুরোটা মোটা কভারে ঢাকা ছিল। তাই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডে খোলা আকাশের নিচে প্র্যাকটিস করতে পারেনি কোন দলই। মুশফিক বাহিনী ও স্মিথের দল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ইনডোরেই ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন সেড়েছে।

বৃষ্টিতে প্লাষ্টিকের মোটা কভারে ঢাকা থাকলেও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের চরিত্র নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের তেমন সংশয় থাকার কথা নয়। কারণ আগামীকাল থেকে যে পিচে টেস্ট হবে, সে পিচ সম্পর্কে যথেষ্ঠ পরিষ্কার ধারণা থাকার কথা কোচ হাথুরুসিংহ ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের। গত মাসে ঠিক এই পিচেই তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে গেছেন মুশফিক, তামিম, সৌম্য, ইমরুল, নাসির, সাব্বির, মুমিনুল, মোস্তাফিজ ও শফিউলরা। শুধু দুই স্পিনার সাকিব ও মেহেদি হাসান মিরাজ ছিলেন না। তারা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ছিলেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে এই উইকেটে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে গেলেও আজ দুপুর বারোটার কয়েক মিনিট আগে অনেকটা সময় ধরে পিচ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক। বাংলাদেশ দলের পরে এসে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ প্রেস কনফারেন্স শেষ করে ফেললেও বাংলাদেশ অধিনায়ক কথা বলেন বেশ অনেকটা সময় পিচ নিবিঢ় পর্যবেক্ষণের পর।

এআরবি/এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।