দুই দেশের মানুষকে আগে এক হতে হবে : রিনি বিশ্বাস


প্রকাশিত: ০২:৪৫ এএম, ০৭ জুন ২০১৫

তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুইদিনের সফরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভারতের কলকাতার তারা মিউজিক চ্যানেলের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী, সংস্কৃতি সংগঠক রিনি বিশ্বাস। শত ব্যস্ততার মাঝেও জাগো নিউজের ডাকে সাড়া দিয়ে দুই বাংলার সংস্কৃতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। রিনি বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আজিজুল আলম সঞ্চয়।

জাগো নিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমন লাগলো ?
রিনি বিশ্বাস : আগরতলা হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে আসামাত্রই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অচেনা মানুষগুলো আমাকে পরম আত্মীয়ের মতো করে আপন করে নিয়েছেন। চোখ জুড়ানো সবুজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রকৃতি দেখতে দেখতে শহরে এসেছি। এখন পর্যন্ত যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তারা আমাকে এতো বেশি ভালোবেসেছেন যে ভালো না লাগার কোনো কারণ নেই। এখানকার মানুষগুলো খুব অতিথি পরায়ন। তাদের অাতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

জাগো নিউজ : সংস্কৃতির রাজধানীখ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রিনি বিশ্বাস : আমি সবসময় আলোর দিক দেখতে পছন্দ করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি থেকে সাংস্কৃতিক জগতে যারা ওঠে এসেছেন তারা তাদের কাজের জন্য আমাদের অনুপ্রেরণা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানাভাবে সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে। তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ১২ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে। তারাও তাদের মতো করে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই মিলে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা চলছে সেই চেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাতে চাই।

জাগো নিউজ : সংস্কৃতির দিক দিয়ে বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের কোনো পার্থক্য আছে কি, যদি থাকে তাহলে সেটা কি ?
রিনি বিশ্বাস : পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির পার্থক্য আমার চোখে খুব একটা পড়ে না। তবে যেই পার্থক্যটা চোখে পড়ে সেটা হলো মানসিকতার পার্থক্য। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে বলছি- অাতিথেয়তা, আন্তরিকতা ও অন্যকে গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

জাগো নিউজ : দুই বাংলার সংস্কৃতিকে আরো প্রসারিত করতে সরকারিভাবে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে ?
রিনি বিশ্বাস : সরকারি কোনো উদ্যোগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে রাজি নই। কারণ সরকার রাজনীতিবিদরা চালান। এই রাজনীতির বিষয়টা আমি একেবারেই বুঝি না। আমার কাছে রাজনীতি একটা সমীরকণ, সেই সমীকরণে আমি যেতে চাই না। সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে হলে সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে ভাবতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি সেই কথা ভাবেন তাহলে দু’দেশ এগিয়ে এসে হাতে হাত ধরে কাজ করতে পারে। বাংলা বা বাঙালিকে এক হতে গেলে আগে দু’দেশের মানুষকে এক হতে হবে। সরকার এক্ষেত্রে কিছু করতে পারবে না।

জাগো নিউজ : এবার আপনার উপস্থাপনা নিয়ে কিছু বলুন ?
রিনি বিশ্বাস : উপস্থাপনার মূল হলো কথা বলা। আমি কথা বলতে খুব ভালোবাসি। অতএব উপস্থাপনা আমার কাছে শুধুই পেশা নয়। এটা আমার জীবনের একটা অঙ্গ। কথা বলতে ভালোবাসি বলেই উপস্থাপনা সহজেই করতে পারি।

জাগো নিউজ : বাংলাদেশের কার উপস্থাপনা আপনার বেশি ভালো লাগে ?
রিনি বিশ্বাস : আপনারা যেমন পশ্চিমবঙ্গের চ্যানেলগুলো খুব সহজে দেখতে পারেন আমরা সেভাবে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো দেখতে পারি না বা সুযোগ হয় না। তবে যেটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে তাতে যমুনা টেলিভিশনের টিনা নন্দীর উপস্থাপনা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

জাগো নিউজ : শত ব্যস্ততার মাঝেও জাগো নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রিনি বিশ্বাস : জাগো নিউজকেও ধন্যবাদ।

এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।