রাজাপুরে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন


প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৬ জুন ২০১৫
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির রাজাপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আর এতে অতিষ্ঠ হয়ে শনিবার সকাল ১০ টায় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবং বিদ্যুতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রাহকরা।

বরিশাল-ভাণ্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি উপজেলা শাখা। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিরাজ খান, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুলফিকার আলী ও গালুয়া ইউপি সদস্য আবু আল খায়ের চাঁন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ দিনে এক ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা এবং রাতে আধা ঘণ্টা পর আধা ঘণ্টার জন্য লোডশেডিং দিচ্ছে। এমনকি আযান ও নামাজের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের কাছে রাজাপুরবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করলে আরও কঠোর আন্দোলন ও পল্লী বিদ্যুৎ বর্জনেরও হুমকি দেন বক্তারা।

জানা গেছে, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে প্রচণ্ড গরমে ঘেমে শিশুরা সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বার বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ায় বিদ্যুচ্চালিত যন্ত্রপাতির ক্ষতি হচ্ছে। কাজ করতে না পেরে রাইসমিল ও স’মিলের মালিক-শ্রমিকরাও ক্ষুব্ধ।

তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা। গত ১ মে থেকে উপজেলার সকল স্কুল মাদ্রাসায় অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার পরে লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে শিশুসহ লোকজন ঘুমাতে না পেরে সর্দি-কাশি ও মাথা ব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহে দেশের কোথাও কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিপর্যয় ঘটেনি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা কৃত্রিমভাবে এ লোডশেডিং সৃষ্টি করেছে।

রাজাপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানের কাছে লোডশেডিংয়ের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন এক ঘণ্টা অথবা তার চেয়েও কম সময় দুই ফিডে ভাগ করে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। এর বেশি রাজাপুরে লোডশেডিং নেই। মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়ত বিদ্যুৎ থাকেনা, সেটাও খুব কম।

এদিকে, গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাতে কৃত্রিম লোডশেডিং দিয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও কৈবর্তখালি গ্রামের সাবস্টেশনে কর্মরত লোকজন মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। এর মাধ্যেমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তারা জেলা অফিস থেকে সুনাম অর্জন করে থাকে।

এসএস/আরআই/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।