শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০২ জুন ২০১৫

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। মঙ্গলবারের এ বাণীতে দু’জনই দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পবিত্র শবেবরাতের মহিমান্বিত রজনী মানবজাতিকে আল্লাহ্তা’য়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমালাভের অপার সুযোগ এনে দেয়।

রাষ্ট্রপতি পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র শবেবরাত আমাদের মাঝে সমাগত। এই মহিমান্বিত রজনী মানবজাতিকে আল্লাহ্তা’য়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমালাভের অপার সুযোগ এনে দেয়।’

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম- এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়।

তিনি বলেন, ‘শবে বরাতের পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন। পবিত্র শবে বরাত সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক মহান আল্লাহর দরবারে এ কামনা করি।’

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
 
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌভাগ্যের এই রজনী মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।

তিনি সকল প্রকার ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডুকতা পরিহার করে শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকলস্তরে প্রতিষ্ঠা এবং রহমতের এই রাত সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের বার্তা বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এসএইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।