নারী বিশ্বকাপেও চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকা : ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৩ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। হাতে ৩ উইকেট। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান জেনি গুন। সঙ্গে লরা মার্শ। জয় একেবারেই নিশ্চিত; কিন্তু গৌরবময় অনিশ্চয়তার ক্রিকেটকে যারা আরও বেশি অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়ে বার বার স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় ভুগতে জানে এবং এই হতাশায় ভোগার জন্য যারা আদর্শ, তাদেরকে কী আর শেষ ওভারের নাটকীয়তা শিখিয়ে দেয়া লাগে! ফলে ২ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় নিতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেলো ইংল্যান্ড।

শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা নাটকীয়তা তৈরি করবে, জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলবে। অবশেষে সমর্থকদের চরম হতাশায় ভাসিয়ে হেরে যাবে- এটাই তো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। এই অনিবার্য বাস্তবতা থেকে বের হতে পারে না পুরুষ ক্রিকেট। এমনকি নারী ক্রিকেটও।

ইংল্যান্ডে চলমান নারী বিশ্বকাপে ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে সেই নাটকীয়তাই দারুণভাবে মঞ্চস্থ করলো প্রোটিয়ারা। শেষ ওভারের ৩ রানকেও দারুণ পুঁজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারতো, যদি না নাটকীয়তার জন্ম না দিত তারা। শেষ ওভারটি করতে আসেন শাবনিম ইসমাইল।

এই ওভারের প্রথম বলেই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান জেনি গুনের ক্যাচ উঠে যায়। হালকা কঠিনই ছিল; কিন্তু এই মুহূর্তে কোয়ার্টার চান্সকেও তো মিস করা যাবে না। ক্যাচটা তালুবন্দী করতে পারলেই ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। অথচ পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হার্সেল গিবসের মত এদিনও ম্যাচটাই ফেলে দিলেন প্রোটিয়া ফিল্ডার।

পরের বলে ১ রান। পরের বলেই লরা মার্শকে ফিরিয়ে দিলেন বোলার শাবনিম ইসমাইল। তবে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে ওভারের চতুর্থ বলেই বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করলেন আনিয়া শ্রাবসোল। সঙ্গে সঙ্গেই জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা।

ব্রিস্টলে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডেন ফন নিকার্ক। নিকার্কের নেওয়া সিদ্ধান্তে যে কোনও ভুল ছিল না তা প্রথম ইনিংসে প্রমান করে দেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বড় রান করেন লরা উলভার্ট (৬৬) এবং মিগনন ডু’প্রেজ (৭৬)। এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান ছাড়াও রান পান ত্রিসা চেত্তি, ফন নিকার্করা। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

জবাবে দুই উইকেট হাতে নিয়ে ৪৯.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ৮ উইকেট হারিয়ে হিথার নাইটের দল তোলে ২২১ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সারা টেলর (৫৪)। সারা ছাড়াও এই জয়ের নেপথ্যে অবদান রাখেন ফ্রান উইলসন (৩০), নাইট (৩০), জেনি গুন (২৭)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু’উইকেট উইকেট পান আয়বঙ্গা খাকা এবং সুন লুস। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক সারা টেলর।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।