এই গরমে ডায়রিয়া এড়াতে যা করবেন


প্রকাশিত: ০৬:৫২ এএম, ২৫ মে ২০১৫

গরমের সময় এলেই বেড়ে যেতে পারে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বড়দের ক্ষেত্রে বাইরের খোলা খাবার খেলে, দূষিত পানি পান করলে ডায়রিয়া হয়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে রোটা ভাইরাসের আক্রমণে ডায়রিয়া হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়রিয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়-

লক্ষণ :
১. ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়া
২. শরীর দুর্বল হওয়া
৩. খাওয়ায় রুচি কমে যাওয়া
৪. ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে বমি হয়। পরে অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়
৫. জ্বর এলেও খুব তীব্র হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীর হালকা গরম থাকে।

প্রতিরোধে যা করবেন :
বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নখ কেটে সব সময় ছোট রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। তারা বাইরে খেলাধুলা করে, ঘরের ছোট ছোট জিনিস হাতে নিয়ে মুখে দেয়। তাই সব সময় হাত পরিষ্কার রাখা উচিত। নিজেদেরও তা করতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখা উচিত। পরিষ্কার স্থানে খাবার রাখতে হবে। না হলে মাছি বা অন্যান্য রোগবাহিত কীটপতঙ্গ খাবারে বসতে পারে। এগুলোর মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। টয়লেট শেষে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। হাতের কাছে সাবান না থাকলে ছাই দিয়ে হাত ধুয়ে বেশি পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। বাসায় খাওয়ার স্যালাইন ও জিংক ট্যাবলেট সব সময় রাখতে হবে। জিংক ট্যাবলেট খেলে অনেক সময় শিশুদের বমি হয়। তখন খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে। বমি বন্ধ হলে ১০ দিনের মধ্যে জিংক ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করা উচিত। এতে পরে ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

ওষুধ-পথ্য :
ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় ওষুধ খাওয়ার স্যালাইন। বড়দের ক্ষেত্রে চালের স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। ডায়রিয়া হলে শরীরে লবণ-পানির স্বল্পতা হয়, খাবারের ঘাটতি দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন ডায়রিয়া হলে স্বাভাবিক খাবার খাওয়া যাবে না- এটা ঠিক নয়। রোগীর সব সময় শুধু স্যালাইন খেতে ভালো নাও লাগতে পারে। তাই রোগীর রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী খাবার খেতে দিতে হবে। স্বাভাবিক খাবার একটু নরম করে খাওয়ানো উচিত। খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি ডাবের পানি ও যেকোনো ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে। অল্প আকারে ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

পানি যেভাবে বিশুদ্ধ করবেন :
১. পানি পান করার আগে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
২. কমপক্ষে ১০ মিনিট পানি ফোটালে তাতে রোগজীবাণু থাকে না।
৩. এরপর পাত্রে পানি কিছুক্ষণ রেখে দিন। যদি কোনো ময়লা থাকে, তবে নিচে পড়ে যাবে।
পরে ওপরের অংশের পানি ছেঁকে আলাদা পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
৪. বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।
৬. বেশির ভাগ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।
এসব ট্যাবলেট পানি সংরক্ষণ ট্যাংকে দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।