জার্মানি-চিলি : কে কোথায় এগিয়ে


প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ০২ জুলাই ২০১৭

একদিকে অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে তারুণ্য। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে নিয়ে এসেছেন পুরোপুরি তারুণ্য নির্ভর একটি দল। উদ্দেশ্য আগামী বিশ্বকাপের একাদশ ঠিক করা। তারুণ্য নির্ভর এই দলটিই উঠে গেলো ফাইনালে। তাদের মুখোমুখি দুটো কোপা আমেরিকাজয়ী চিলি। যারা টানা দুই কোপা আমেরিকায় হারিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হতে যাওয়া কনফেড কাপের ফাইনালের আগে তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে। কে কোন পজিশয়ে এগিয়ে, কে কোথায় পিছিয়ে- এই বিশ্লেষণই তুলে ধরা হলো...

গোলরক্ষকে এগিয়ে চিলি

চিলির গোলরক্ষক, বার্সেলোনার সাবেক ক্লদিও ব্র্যাভো এখন ম্যানচেস্টার সিটিকে। যদিও ম্যানসিটিতে ভালো খেলতে পারছিলেন না তিনি; কিন্তু রাশিয়ায় সেমিফাইনালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে তিনটে পেনাল্টি কিক সেভই প্রমাণ করেছে তার যোগ্যতা। বিশেষজ্ঞরা পেনাল্টি বাঁচানোর চেয়েও ব্র্যাভোর আত্মবিশ্বাস বেশি দেখেছেন। পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই আন্দ্রে সিলভার পা থেকে নিশ্চিত গোল বাঁচানোটাকে। অন্যদিকে, জার্মানির গোলরক্ষক, বার্সেলোনার বর্তমান মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান রাশিয়ায় শুরুটা ভালো করেননি। তবে সেমিফাইনালে জোয়াকিম লো দারুণ প্রশংসা করেন স্টেগানের।

ডিফেন্সে এগিয়ে জার্মানি

গোলের মধ্যে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে থামিয়ে দেওয়ার কাজ করে চিলির ডিফেন্স দেখিয়ে দিয়েছে তারা কতটা মজবুত। পর্তুগালের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে চিলির দুই স্টপার গ্যারি মেডেন ও গঞ্জালো জারা জায়গাই ছাড়েননি সিআর সেভেনকে। চিলির দুই সাইডব্যাক জিয়ান বিয়াসেজোর ও মার্সিয়াও ইসলার বড় প্লাস পয়েন্ট রক্ষণের সঙ্গে তারা আক্রমণেও সমান সাবলীল।

জার্মানি এখানে ৩-৪-২-১ ছকে তিন ডিফেন্ডারে খেলছে। লো’র ডিফেন্সের সবথেকে ভালো দিক, প্রচুর বিকল্প রয়েছে। জোশুয়া কিমিচ, জোনাস হেক্টররা জায়গা বদলে খেলছেন। শদরান মুস্তাফি, নিকলাস সুলে, ম্যাথিয়াস জিন্টেররাও ধারাবাহিক।

মিডফিল্ডে এগিয়ে চিলি

চিলির মাঝমাঠের ‘হৃদয়’ আর্তুরো ভিদাল আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন। বায়ার্ন মিউনিখের এই ফুটবলার বলেছেন, ‘আমরা পরপর দু’বার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা জিতেছি। এখানে সেমিফাইনালে ইউরো জয়ী রোনালদোরর পর্তুগালকে হারিয়েছি। এবার বিশ্বজয়ী জার্মানিকে হারিয়ে এখন থেকে আমরাই অলিখিতভাবে বিশ্বজয়ী হয়ে থাকতে চাই।’

শুধু ভিদাল নন, চিলির বাকি তিন মিডফিল্ডার মার্সেলো ডিয়াজ, পাবলো হার্নান্দেজ, চার্লস আরাঙ্গুইজরা দাপট দেখিয়েই খেলছেন। এই জায়গায় জার্মানির মাঝমাঠ ততটা অভিজ্ঞতা বা দাপট এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। যদিও মেক্সিকো ম্যাচে গোরেত্জকা জোড়া গোল করে ম্যাথাউসের সঙ্গে তুলনায় চলে এসেছেন। তার সঙ্গে সেবাস্তিয়ান রুডি, এমরে কান ও কেরেম দেমিরবে ভালোই খেলছেন; কিন্তু তাদের ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি সব ম্যাচে।

ফরোয়ার্ডে এগিয়ে জার্মানি
রোনালদোর টিম ছিটকে যাওয়ায় কনফেডারেশন্স কাপে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চিলির ফরোয়ার্ড আলেক্সিস সানচেজ। যদিও পুরোনো ফর্ম নেই। জার্মানির বিরুদ্ধে গোল রয়েছে। ৪-৩-৩ ছকে তার পাশে এডওয়ার্ডো ভার্গাসও ভালোমানের স্ট্রাইকার। তবে সেভাবে গোল নেই তাদের। সে জায়গায় জার্মানির দলে ৩-৪-২-১ ছকে সামনে থাকা ওয়ার্নার একাই করেছেন তিন গোল। তার পিছনের দু’জন হুলিয়ান ড্রাক্সলার, লার্স স্টিন্ডেলরাও রয়েছেন গোলের মধ্যে।

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।