কমনওয়েলথ দাবায় ফাহাদকে ঘিরেই প্রত্যাশার আলো


প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৭

কমনওয়েলথ দাবায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নতুন নয়। তবে রোববার ভারতের নয়া দিল্লিতে শুরু হতে যাওয়া এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে বড় একটি দল। ২১ সদস্যের দলে আছেন ৪ জন গ্র্যান্ডমাস্টার, ২ জন মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার, ২ জন ফিদেমাস্টার এবং ১ জন মহিলা ফিদেমাস্টার।

এর আগে কখনো কমনওয়েলথ দাবায় এত বড় দল পাঠায়নি ফেডারেশন। এমনকি ফেডারেশনের খরচে আগে কখনো কমনওয়েলথ দাবায় দল পাঠানো হয়নি। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির এ উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তিনিও যাচ্ছেন এ প্রতিযোগিতায়। সঙ্গে জিয়ার পুত্র তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও। সে অংশ নেবে অনূর্ধ্ব-১২ বিভাগে।

দেশের চার গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান, মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীব ও নিয়াজ মোরশেদ, দুই মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার শামীমা আক্তার লিজা ও রানী হামিদ, ফিদে মাস্টার তৈয়বুর রহমান ও মহিলা ফিদে মাস্টার শারমীন সুলতানা শিরিন ওপেন বিভাগে অংশ নিচ্ছেন।

বয়স ভিত্তিক ক্যাটাগরিতে অনুর্ধ্ব-২০ ওপেন বিভাগে আকিব জাওয়াদ, অনুর্ধ্ব-২০ বালিকা বিভাগে উম্মে তাসলিমা প্রতিভা তালুকদার, অনুর্ধ্ব-১৮ ওপেন বিভাগে অনত চৌধুরী, অনুর্ধ্ব-১৬ ওপেন বিভাগে নাইম হক, অনুর্ধ্ব-১৬ বালিকা বিভাগে কাজী জেরিন তাসনিম, অনুর্ধ্ব-১৪ ওপেন বিভাগে ফিদে মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান, অনুর্ধ্ব-১৪ বালিকা বিভাগে নোশিন আঞ্জুম, অনুর্ধ্ব-১২ ওপেন বিভাগে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, অনুর্ধ্ব-১২ বালিকা বিভাগে জান্নাতুল ফেরদৌস, অনুর্ধ্ব-১০ ওপেন বিভাগে সাজিদুল হক ও সৈয়দ রিদওয়ান, অনুর্ধ্ব-৮ ওপেন বিভাগে মনোন রেজা নীড় এবং সিনিয়র বিভাগে উর্ধ্ব-৬০ এ হানিফ মোল্লা অংশ নিচ্ছেন।

ক্যাটাগরি বিভাগের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষক কাম কর্মকর্তা হিসেবে ন্যাশনাল ইন্সট্রাক্টর ও মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি দলের সাথে যাচ্ছেন। সকল ক্যাটাগরির খেলা ৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হবে।

নর্ম অর্জনের সুযোগ থাকলেও আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল ও মিনহাজউদ্দিন আহমেদ সাগর যাচ্ছেন না কমনওয়েলথ দাবায়। শাকিলের পারিবারিক সমস্যা, নৌবাহিনীর চাকুরে মিনহাজ ছুটি পাননি। শীর্ষ দাবাড়ুদের পাশাপাশি এক ঝাঁক খুদে দাবাড়ুকমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠাচ্ছে ফেডারেশন। লক্ষ্য আগামী প্রজন্মকে অভিজ্ঞতা অর্জন করানো।

শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো জিমনেসিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম বলেছেন, ‘আমরা এই দাবাড়ুদের গত তিন মাস ধরে অনুশীলন করিয়েছি গ্র্যান্ডমাস্টার রাকিব ও রাজীবকে দিয়ে। ছেলে-মেয়েদের কাছে এখনই অতো ভালো ফল আশা করছি না। তবে ওদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা  যেন বাড়ে সেটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।’

২১ সদস্যের দল অংশ নিলেও প্রত্যাশার সব আলো ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমানকে ঘিরে। তাকে নিয়ে আশাবাদী সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, ‘ফাহাদ আশা করি এবার সোনা জিতবে। এজন্য আমরা ওকে উন্মুক্ত বিভাগে খেলতে দিইনি। ফাহাদ খেলবে অনূর্ধ্ব-১৪ বিভাগে। এখানে ওর সোনা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।’ গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার কথায়ও একই সুর, ‘এবার আমরা ফাহাদকে নিয়ে বেশি আশাবাদী। তার স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান পলাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য আঞ্জুমান আরা আকসির ও রফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল ইন্সট্রাক্টর মাহমুদা হক চৌধুরী মলি ও আন্তর্জাতিক দাবা বিচারক মো. হারুন অর রশিদ।

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।