সংকট নিয়ে রোববার আলোচনায় বসছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা


প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৭

কেউ নমনীয় হচ্ছে না। দু’পক্ষই রয়েছে অনড় অবস্থানে। কে কাকে ছাড় দেবে। বোর্ড ক্রিকেটারদের নাকি ক্রিকেটাররা বোর্ডকে? এমনই এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার কারণে আজ থেকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা বেকার। তারা আর জাতীয় দলের ক্রিকেটার নন।

অথ্যাৎ আজ থেকে আইনত স্মিথদের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিযার। যা অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট ইতিহাসে নজীরবিহীন ঘটনা। সিএ’র এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছে ১৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী অ্যাসেজ টুর্নামেন্টও। চলতি বছরের নভেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা অ্যাসেজের। তার আগে রয়েছে বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ এবং ভারতে ওয়ানডে সিরিজ।

তবে, চুক্তি না করলেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে ডেভিড পিভির অ্যান্ড কোম্পানি। শুক্রবার সিএর এক কর্মকর্তা জানান, পুরনো চুক্তি নবায়ন না হলেও, নতুন এক চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হবে স্মিথদের।

ক্রিকেটারদের পরিবার এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে ভারসাম্য রেখেই এই চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হবে দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদেরকে। সূত্র জানিয়েছে, সিএর দেওয়া চুক্তির পর্যালোচনা করতে ২ জুলাই (রোববার) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আলোচনায় বসবেন স্মিথ অ্যান্ড কোং।

উল্লেখ্য, এর আগেও ভিন্ন এক চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের যা ক্রিকেটারদের স্বার্থ বিরোধী বলে বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন(এসিএ)। সেখানে শুধুমাত্র জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। স্মিথরা সেটা বাতিল করে দেন সব ক্রিকেটারের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই।

এখন দেখার নতুন এই চুক্তিতে স্মিথ-ওয়ার্নাররা সায় দেয় কি না। তাতে অন্তত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে তৈরি হওয়া সঙ্কট যদি নিরসনের একটা পথ খুঁজে পাওয়া যায়!

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।