পাকিস্তান ফাইনালে ওঠার পেছনে ‘ফিক্সিংয়ের’ ভূমিকা দেখছেন আমির


প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১৬ জুন ২০১৭

পাকিস্তান দল খারাপ খেললে দোষ। আবার ভালো খেললেও দোষ? খারাপ খেললে অনেক সমালোচনাই হয়। আর ভালো খেললে ‘বাহবা’ পেলেও ভয় থাকে। দেশটির কেউ তাতে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের’ ভূমিকা দেখে থাকেন। কী করতে পারেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা?

তেমনই এক ঘটনা ঘটল এবারও। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠার পেছনে ‘ফিক্সিংয়ের’ ভূমিকা দেখছেন দলটির সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল। তাই সরফরাজ-আজহার-বাবর-মালিকদের আত্মতুষ্টিতে ভুগতে বারণ করেছেন তিনি!

চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অষ্টম দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তান। গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে সরফরাজ আহমেদের দল। শেষ চারের লড়াইয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট পকেটে পুরেছে পাকিস্তান।

এমন পারফরম্যান্সও সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না আমির সোহেলের কাছে। তিনি খুঁজে ফিরছেন নেপথ্যের কারণ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে ‘ফিক্সিং’ শব্দটা জড়িয়ে আছে! (২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ।) আমির সোহেলের খুঁজে পাওয়া ‘কারণ’ বোধ হয় সেটাই!

amir
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল

শোনা যাক, পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে আমির সোহেল কী বলেন, ‘সরফরাজকে জানিয়ে দেয়া দরকার যে তোমরা মহৎ কিছু করে ফেলছ, এমনটা ভেব না। ম্যাচ জিততে কেউ তোমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অধিনায়ক সরফরাজের খুশি হওয়ার কারণ দেখছি না। পর্দার আড়ালে কী হয়, আমরা তা সবাই জানি। এখনই বিস্তারিত বলতে চাই না। পাকিস্তান কেন জিতেছে? কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলব, ভক্তদের দোয়ায় আর আল্লাহর মেহেরবানিতে ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে। তবে এটুকু বলতে চাই- মাঠের খেলায় না, সরফরাজরা এখানে এসেছে বাইরের হস্তক্ষেপে! ছেলেদের ভালো ক্রিকেট খেলায় নজর দেয়া উচিত।’

simgad

‘বাইরের হস্তক্ষেপে’ ফাইনালে ওঠায় পাকিস্তান দলকে অভিনন্দন জানাননি আমির সোহেল, ‘আমরা তখন তোমাদের অভিনন্দন জানাব, যখন ভালো ক্রিকেট খেলবে। আর সেটা না করলে আমরা তোমাদের সমালোচনা করব। তারা (পাকিস্তান দল) তাদের সফলতা নিয়ে এখন উড়তেই পারে। কারণ তারা এখন ফাইনালে। কিন্তু আমরা জানি, তারা কীভাবে এই পজিশনে এসেছে!’

এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।