এই সুযোগ কাজে লাগাক তামিম


প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

ভারতের তিন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া আর জসপ্রিত বুমরাহ এবং স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিংয়ে কিছুটা চাপেই বলা যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। শুরুতেই সৌম্য ভুবনেশ্বরের অফ স্ট্যাম্পের ওপর উঠে আসা বলটি ঠিকমত পড়তে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন সৌম্য সরকার।

ওয়ানডাউনে নামা সাব্বির রহমান শুরুতে তিন চারটি বাউন্ডারি মেরে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন। আত্মবিশ্বাসটাও বেশ বাড়িয়ে তুলেছিলেন; কিন্তু এক ওভার রান করতে না পারার কারণে হয়ে যান ধৈর্য হারা। সুতরাং, ভুলটা করে বসলেন ভুবনেশ্বরের বলেই। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।

৩১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রচণ্ড চাপের মুখে ওপেনার তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরলেন মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে। এই জুটির ওপর অনেক আশা এবং ভরসা। তামিম-মুশফিক টিকতে পারলে বাংলাদেশ হয়তো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।

কিন্তু চামের মুখে রান তুলতে না পেরে তামিমও কী অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন? ১৩ তম ওভারে যেভাবে হার্দিক পান্ডিয়াকে খেললেন, তাতে সেটাই মনে হচ্ছে। ওভারের দ্বিতীয় বলে হার্দিক পান্ডিয়া দিলেন নো বল। তামিম ফ্রি হিট পেলেন। চোখ বন্ধ করে বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার সুযোগ। তামিম করলেনও সেটা। তবে বল আকাশে উঠে থেকে গেলো বাউন্ডারির ভেতরেই। ক্যাচ ধরলেও ফ্রি হিটের কারণে বেঁচে গেলেন তামিম।

simgad

ওভারের পঞ্চম বলেই অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা বলটি পুল করতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল সোজা আঘাত করে স্ট্যাম্পে। বোল্ড। পুরো গ্যালারিই মুহূর্তে চিৎকার করে উঠলো; কিন্তু আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এক পাশে বাড়িয়ে দিয়ে জানিয়ে দিলেন ওভার স্টেপিংয়ের কারণে বলটি নো।

মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন কোহলি এবং পান্ডিয়া। স্রেফ ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেলেন তামিম। একই ওভারে দু’বার আউটের শিকার হলেন। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেলেন। তামিম ছিলেন এ সময় ১৭ রানে।

এই যে এভাবে বেঁচে গেলেন তামিম ইকবাল, শেষ পর্যন্ত এটাকে কি কাজে লাগাতে পারবেন তিনি? এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একটি লাইফ পাওয়া মানে অনেক বড় কিছু। তামিম এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যাক ভারতের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।