সাইফ-আফিফ জেতালেন আবাহনীকে
শিরোপা জয়ের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তবুও শেষ ম্যাচটি জয় দিয়েই শেষ করতে চেয়েছিল আবাহনী। বৃষ্টির কারণে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল ম্যাচটি ঠিকভাবে শেষ করা যাবে কি না। নাকি আরও একদিন পিছিয়ে চলে যাবে রিজার্ভ ডেতে।
তবে রিজার্ভ ডেতে যেতে হয়নি। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বৃষ্টির পর মাঠ খেলার উপযোগি থাকা বৃষ্টি আইনে ২০ ওভারে আবাহনীর সামনে ১২৪ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ১৭.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সেটাই টপকে যায় আবাহনী। ফলে শেখ জামালকে ৬ উইকেটে হারিয়েই লিগ শেষ করলো ধানমন্ডির দলটি।
আবাহনীকে জয় উপহার দিলেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন এবং সাইফ হাসান। প্রথমে বল হাতে আফিফ হোসেন নেন ৫ উইকেট এবং পরে ব্যাট হাতে সাইফ হাসান ৪০ বলে করেন ৫১ রান।
বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। যখন খেলা শুরু করা গেলো, তখন দু’দলের কাছ থেকেই কেটে নেয়া হয় ২০ ওভার করে। অথ্যাৎ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ওভারের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল।
শেখ জামালের ব্যাটসম্যান মাহবুবুল করিম ৫৯ বলে করেন ৬০ রান। ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। বাকি ব্যাটসম্যানদের ওপর রীতিমত স্টিমরোলার চালান স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১০ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন আফিফ।
মাহবুবুল করিম ছাড়া ৩৬ রান করেন রাসেল আল মামুন এবং ৩৪ রান করেন ফজলে রাব্বি। তানভির হায়দার করেন ১৭ রান।
আবাহনী ব্যাট করতে নামার আগে আবারও বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টি শেষে আবাহনীর সামনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ২০ ওভারে ১২৪ রান। সাইফ হাসান এবং আফিফ হোসেন নামেন ইনিংস ওপেন করতে। ১ রানে আফিফ আউট হয়ে গেলেও সাদমান ইসলাম আর সাইফ হাসান মিলে আবাহনীকে জয়ের দিকে নিয়ে যান।
২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে যান সাদমান। ৫ রান করে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও। মোহাম্মদ মিথুন ২২ বলে অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। ৪০ বলে ৫১ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেখ জামালের পক্ষে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তানভির হায়দার। ১ উইকেট করে নেন শাহাদাত হোসেন এবং মইনুল ইসলাম রিয়াদ।
আইএইচএস/জেআইএম