অর্ধযুগ পর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০৪ জুন ২০১৭

ক্রিকেট খেলে, বিশেষভাবে বলতে গেলে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর সঙ্গে প্রায়ই সফর বিনিময় হচ্ছে বাংলাদেশের। নিয়মিতই অন্য দলগুলোর বিপক্ষে ক্রিকেট খেলছে টাইগাররা। ব্যতিক্রম শুধু অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটে সবচেয়ে নাকউঁচা যদি কাউকে বলা হয়, তাহলে তারা ইংল্যান্ড। তবে, সেটা এখন নিছকই ধারনা। নাকউঁচা কেউ যদি থাকে, তবে তারা অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্রিকেট খেলতেই যত আপত্তি অসিদের। সেই ২০০৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা টেস্ট খেলেছে। এরপর থেকে তারা নিজেরাও আসবে না, আবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণও জানাবে না। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেললে যেন জাত-কুল সবই যাবে অসি ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।

একটি টেস্ট সিরিজ ঝুলে আছে দীর্ঘদিন। ২০১৪ সাল থেবে হবে-হচ্ছে করে আর হচ্ছে না। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার গড়িমসির কারণে। নানা অজুহাতে বাংলাদেশকে পাশ কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা। যে কারণে, গত এক দশকেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।

এ তো গেলো টেস্টের কথা। ওয়ানডেতেও গত প্রায় অর্ধ যুগ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। না কোনো টুর্নামেন্ট, না কোনো দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার কোনোই আগ্রহ নেই অস্ট্রেলিয়ার।

২০১১ বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশে সর্বশেষ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে প্রথম সফর। তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাভাবিকভাবেই হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। এ ম্যাচে তো শেন ওয়াটসন একাই খেলেছিলেন ১৮৫ রানের ইনিংস।

ওয়ানডেতে সেই যে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার, এরপর তাদের বিপক্ষে টস করতে নামতে পারেনি কোনো বাংলাদেশি অধিনায়ক। ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ব্রিসবেনে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার; কিন্তু কী দুর্ভাগ্য! বৃষ্টির কারণে সেই ম্যাচের একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। টসও অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি রঞ্জন মাদুগালে।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করার পর অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটাই ধরে দিয়েছিল টাইগাররা; কিন্তু সাকিব মোস্তাফিজদের দুর্দান্ত বোলিং সত্ত্বেও ৯ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্টিভেন স্মিথের দল।

যে কোনো ফরম্যাটে সেটাই সর্বশেষ বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হওয়া। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০১১ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম আবারও মাঠে নামছে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রবীন এবং নবীন এই দুই দল। যদিও ২০১১’র তুলনায় এখন অনেক বদলে গেছে বাংলাদেশ।

২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম এবং একমাত্র জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই ইংল্যান্ডের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে মাশরাফির দল। যদিও সেবার ভেন্যু ছিল কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন। এবার ভেন্যু লন্ডনের কেনিংটন ওভাল। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এবারও কী বাংলাদেশ পারবে কার্ডিফের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে। মাশরাফিরা এবার কী পারবে অস্ট্রেলিয়াকে বুঝিয়ে দিতে যে, তোমরা আমাদের যত ছোট মনে কর, এখন আর আমরা তত ছোট নই!

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।