বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি


প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ৩১ মে ২০১৭

দুই বছরের বিশাল একটা বিরতি। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে গত দুই বছরে আইসিসির আর কোনো আয়োজন ছিল না। দুই বছরের বিরতিতে আবারও ক্রিকেট বিশ্ব মেতে উঠছে ৫০ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটের উম্মাদনায়। বিশ্বের সেরা আটটি দলকে নিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচ। এই ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি দুই আসর বিরতি দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেরা বাংলাদেশ।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গে টপ ফেবারিটের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং আইসিসি র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। আইপিএলে বিরাট কোহলিসহ বেশ কিছু ক্রিকেটার খুব বাজে পারফরম্যান্স করলেও প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের বেশ ঘুচিয়ে নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেই ঘুচিয়ে নেয়াটার প্রমাণটা রেখেছে টিম ইন্ডিয়া।

ইংল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে তিনটি একদিনের ম্যাচের সিরিজ। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ইয়ন মরগ্যানের দল। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ম্যাচে এসে বুঝিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তারাও রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। অস্ট্রেলিয়া তো ব্যাটিং এবং বোলিং- দুই বিভাগেই যে কোনো দলের চেয়ে সেরা।

নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলংকার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ। দুই গ্রুপে চারটি করে দল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলার পর দুটি করে দল উঠবে সেমিফাইনালে। কোন চারটি দল উঠবে? টপ ফেবারিট চার দলের সঙ্গে বাকি চার দল যে একেবারে ভেসে যাবে না তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ, এই চার দলেরও সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা রয়েছে। ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। শেষ বল পর্যন্তও বলা সম্ভব নয়, কে জিতবে শিরোপা কিংবা কারা খেলবে সেমিফাইনাল।

এমনই এক পরিস্থিতিতে, কয়েকটি দলকে ফেবারিটের তালিকায় রেখে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ময়দানী লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে এমন দুটি দল মুখোমুখি, যাদের দিকে খালি চোখে তাকালে একটি দলকেই টপ ফেবারিট এবং তারা নিশ্চিত জয় পাবে বলে সবাই ধরে নেবে।

কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বলেই এই ধরে নেয়াটা এত সহজ নয়। প্রথম দলটির নাম ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দলটি বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুই আইসিসি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংলিশরা। আইসিসি ইভেন্ট মানেই ইংল্যান্ডের বাংলাদেশের কাছে পরাজয়। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং ভরাডুবির কথা বেমালুম ভুলে যেতে চায় বাংলাদেশ।

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিকে মাথায়ই রাখতে চান না। তিনি দেখিয়ে দিলেন আগের ম্যাচগুলোতে কেমন ব্যাটিং করেছেন সেদিকে। বরং, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিকে নিতে চান ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে। সুতরাং, ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চাপমুক্ত থেকে খেলতে নামার যে এডভান্টেজ, সেটাকেই পুরোপুরি গ্রহণ করতে চান মাশরাফিরা।

বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় লন্ডনের কেনিংটন ওভালে উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশ নয়, উল্টো চাপে থাকতে ইংল্যান্ডই। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা যেমন বাংলাদেশকে ব্ল্যাক হর্স হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জমিয়ে দিতে চাইলেন, তেমনি মাশরাফিও কথার প্যাঁচে ইংল্যান্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইলেন। টুর্নামেন্টটা যে, উদ্বোধনী দিন থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে শিরোপা লড়াই। বাংলাদেশ যদি কোনোভাবে ইংল্যান্ডকে থমকে দিতে পারে, তাহলে সত্যি সত্যি টুর্নামেন্টের শিরোপা লড়াইটা শুরুর দিন থেকেই ব্যাপক জমে উঠবে, সন্দেহ নেই।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।