তিস্তা নিয়ে এখনই আন্তর্জাতিক আদালত নয়


প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে এখনই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সম্পূরক প্রশ্নে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সমুদ্রসীমা নিয়ে আর্ন্তজাতিক আদালতের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধান হয়েছে। তিস্তার পানি চুক্তি নিয়েও সরকার একই ব্যবস্থা নেবে কী-না।

এর আগে বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে প্রকাশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। এই চুক্তি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে কী করা হবে তা নিয়ে এখনই কোন বক্তব্য দেওয়া সমীচিন হবে না।

মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়ের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদমন্ত্রী জানান, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর প্রবাহ বন্টনের লক্ষ্যে ত্রিশ বছর মেয়াদী একটি ঐতিহাসিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

তিনি জানান, সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর অনুরূপভাবে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। বিশেষকরে, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে জনদুর্ভোগের কথা অনুধাবন করে জরুরি ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বন্টন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া প্রয়োজন মর্মে যৌথ ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দু`দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের দিকনির্দেশনার ফলশ্রুতিতে, তিস্তা নদীর অন্তবর্তীকালীন পানি বন্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চুড়ান্ত করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।