মাশরাফিদের কাছে সেই হার আজও পোড়ায় শচীনকে


প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ২৮ মে ২০১৭

শচীন টেন্ডুলকার কখনো ভাবেননি, তাদের এমন পরিণতি হতে পারে। তার মানে, বাংলাদেশকে অবলীলায় হারিয়ে দেয়ার মিশনে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া! মাঠের লড়াইয়ে সেটা আর পারেনি ভারত। পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে টাইগারদের কাছে ৫ উইকেটে বিধ্বস্ত হয়েছিল ভারত।

গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া। রাহুল দ্রাবিড়-মহেন্দ্র সিং ধোনিরা পড়েছিলেন বেকাদায়। ক্ষব্ধ সমর্থকরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। কঠোর নিরাপত্তায় দেশে ফেরেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভয়াবহ দিনগুলোর কথা প্রায়ই মনে পড়ে টেন্ডুলকারের। মাশরাফিদের কাছে সেই হার আজও পোড়ায় টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহককে।

bangladesh

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ নিয়ে টেন্ডুলকার বলেন, ‘আমরা দল হিসেবে খেলেছিলাম; কিন্তু সংগঠিত ছিলাম না! বোর্ড অফিসিয়ালদের আদৌ বলিনি যে দলটির ভালো অবস্থা ছিল না। তার চেয়ে বড় কথা, আমি কখনো ভাবিনি যে, বাংলাদেশের কাছে হেরে যেতে পারি!!’

প্রসঙ্গত, পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়। সৌরভ গাঙ্গুলির হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিন ব্যাটসম্যান। ওপেনার তামিম ইকবাল করেন ৫১ রান। সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া মুশফিকুর রহীমের ইনিংসটা ৫৬* রানের। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন মাশরাফি।

এনইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।