জনগণের ধাওয়ায় বিএনপি আন্দোলনের মাঠ থেকে পালিয়েছে : সুরঞ্জিত


প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৯ মে ২০১৫

খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ মানুষ হত্যা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, করছে। কিন্তু জনগণের ধাওয়ায় তারা আন্দোলনের মাঠ থেকে পালিয়ে গেছে। শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ৮.২৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যেকোন দেশের উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে এখন স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার দলতো উন্নয়নে বিশ্বাসী নয়, তারা চায় ধ্বংসলীলা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ জনকল্যাণে কাজ করে। আর খালেদা জিয়ার দল ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ লুণ্ঠিত হয়, ধ্বংসলীলার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ধীতপুর গলিশাইল থেকে রতনপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৫৬১ জন। আজ বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন ৪৭৫ জন।

বিএনপির উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের দিন শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার জনগণকে দেয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্থবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে এখন ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কাজ চলছে। নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বেগম খালেদা জিয়া উন্নয়ন চান না, তাই বিভিন্নভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন।

উপজেলার গলিশাইল, ধীতপুর, রতনপুর, শোয়াতিয়র, মোস্তফাপুরবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত ধীতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুফী মিয়া।

কুলঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জিএম সোলায়মান মিয়া, সিলেট জেলা জজ কোর্টের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, দিরাই পৌর মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল, অ্যাডভোকেট সুহেল আহমদ, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার আহমদ, গোপেশ দাস, দীপংকর দাস, শফিকুল আলম টিটু, দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কুমার দাস, ৯নং কুলঞ্জ চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ,ইফতেখার হোসেন মঞ্জু, দিরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ, সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা এনামুল হক লিলু, আবুল হাসেম প্রমুখ।
 
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।