বিশতম বিদেশি কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১৭ মে ২০১৭

ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু কাপ হলে সেটাই হবে এ বছর জাতীয় দলের একমাত্র টুর্নামেন্ট। ওই মাসেই হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ; কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ফুটবল প্রতিযোগিতা পিছিয়ে চলে গেছে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে। এর বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেললে সেটা ভিন্ন কথা।

গত বছর ভুটানের কাছে হার আর ফিফা র্যাং কিংয়ে দুই শ‘র (১৯৩) কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখার সাহস পাননা কেউ। তারপরও সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে একজন ভালোমানের বিদেশি কোচের সন্ধান করছিল বাফুফে। ইংলিশ বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ড্রু ওর্ডের হাতেই জাতীয় দলের ভাগ্য শপে দিচ্ছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।

১ জুন বাংলাদেশে দায়িত্ব নেয়ার কথা তার। জুলাইয়ে এএফসির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যুব দলকে কোচিং করাবেন তিনি। ফেডারেশন কাপ শেষ হবে ৪ জুন। মৌসুমসূচক এ টুর্নামেন্টের পরই নতুন কোচের হাতে তুলে দেয়া হবে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে প্রাথমিক একটি দল। ১০ দিন হবে এ দল নিয়ে ক্যাম্প।

অ্যান্ড্রু ওর্ড হবেন বাংলাদেশের ফুটবলে ২০তম বিদেশি কোচ। ১৯৭৮ সালে জার্মানির ওয়ার্নার বেকেলহফ দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবলে বিদেশি কোচের আগমন। সর্বশষ ২০১৬ সালে দায়িত্ব পালন করে গেছেন বেলজিয়ামের টম সেইন্টফিট। মাঝে সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইতালি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের ১৮ জন বিদেশি কোচ দাঁড়িয়েছেন লাল সবুজের ডাগআউটে। এর মধ্যে দুইবার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ ২০১৩ ও ২০১৬ সালে।

আগের ১৯ বিদেশি কোচের মধ্যে সাফল্যের খাতায় নাম তুলেছেন মাত্র চারজন। তারা হলেন জার্মানির অটো ফিস্টার, ইরাকের সামির শাকির, অস্ট্রিয়ান জর্জ কোটান ও সার্বিয়ার জোরান দর্দভিচ। অটো ফিস্টার বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চারজাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফিস্টারের কোচিংয়ে।

ইরাকের সামির শাকির বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন সাফ গেমস ফুটবলের স্বর্ণ। ১৯৯৯ সালে নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত গেমস ফুটবলের ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে বাংলাদেশ জিতেছিল সাফ গেমস ফুটবলে প্রথম স্বর্ণ পদক। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ প্রথম এবং একমাত্র স্বর্ণ জিতেছে বিদেশি কোচের অধীনে। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছিল। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে বাংলাদেশ স্বর্ণ পদক জিতেছিল সার্বিয়ার জোরান দর্দভিচের অধীনে।

তো কেমন হবেন জাতীয় দলের ২০ তম কোচ? বাফুফের সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বুধবার নতুন কোচের নাম ঘোষণা করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ওর্ডের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে। আধুনিক ফুটবল ভাবনা আছে তার। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সুবাদে এশিয়ার ফুটবল সম্পর্কেও তার ভালো ধারণা আছে। তরুণ কোচ বলে নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থেই ভালো করার তাগিদ থাকবে।’

অ্যান্ড্রু ওর্ড অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে দাবি করছে বাফুফে। তবে উইকিপিডিয়ায় তার কোচিং ক্যারিয়ারে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ গ্লোরি ও থাইল্যান্ডের দুটি ক্লাবে দায়িত্ব পালন ছাড়া আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আর বয়সের দিক দিয়ে অ্যান্ড্রুই হবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জুনিয়র কোচ। খেলোয়াড় হিসেবেও তার ক্যারিয়ারে উল্লেখ করার মতো কোনো তথ্য নেই।

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।