ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ


প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১০ মে ২০১৭

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১১বার শিরোপা জয়ের রেকর্ড কেবল রিয়াল মাদ্রিদেরই রয়েছে। তাদের মত এত বেশি শিরোপা জেতেনি আর কেউ। এবার জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা দাঁড়িয়ে ১২তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের সামনে।

সে সঙ্গে ইতিহাসও হাতছানি দিয়ে ডাকছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের। ১৯৫৭-৫৮ সালের পর একই মৌসুমে লা লিগা এবং ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এক সঙ্গে জয়ের সুযোগ এবার তাদের সামনে। পারবে কী এবার রিয়াল মাদ্রিদ!

এখনও বলতে গেলে পথ অনেক দুর বাকি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে লজ ব্লাঙ্কোজরা। তবে এখনও ফিরতি লেগ বাকি। যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে এখানে। এরপর বাকি ফাইনাল। যেখানে রিয়ালের মুখোমুখি হবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্তাস।

অন্যদিকে লা লিগায় ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে সমান অবস্থানে থাকলেও রিয়াল খেলেছে এক ম্যাচ কম। সুতরাং, লজ ব্লাঙ্কোজদের সামনে লিগ শিরোপা জয়ের দারুণ এক সুযোগ এখন। সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।

লা লিগার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ- পারবে কী জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। যদি পেরেই যায়, তবে সেটা হবে এক ইতিহাস। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে ৬০ বছর আগে একই মৌসুমে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল তারা। এরপর আবারও তাদের সামনে একই সঙ্গে দুটি শিরোপা জেতার দারুণ সুযোগ। শুধু তাই নয়, ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর টানা দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও জেতেনি তারা।

এবার পারলে আলফ্রেডো ডি স্টেফানোদের সেই দলটির সঙ্গে নাম লিখে ফেলবে রিয়াল মাদ্রিদের এই দলটি। জিনেদিন জিদান আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের সামনে ইতিহাস সৃষ্টির দারুণ এক সুযোগ। অ্যাটলেটিকো বাধা পার হয়ে ফাইনালে জুভেন্তাসকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ৬০ বছর পর দ্বিতীয়বারের মত টানা দু’বার কিংবা তার বেশি শিরোপা জয় করবে লজ ব্লাঙ্কোজরা।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে শুরু করে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত টানা ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। যেটা ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে এসে নাম নিয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।