বিরলে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ
দিনাজপুর জেলার বিরলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী। বিয়েবাড়ি থেকে ৩ বরযাত্রীকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন, জেলার সদর উপজেলার বালুবাড়ী এলাকার বীরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে বরযাত্রী পূর্ণ চন্দ্র রায় (৪২), দক্ষিণ বালুবাড়ী ঢাকাইয়াপট্রির মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২) ও বড়বন্দর রেল বাজারের পান্নুর ছেলে দুলাল হোসেন (২৩)। এসময় বরসহ অন্যান্য বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, বিরল উপজেলার শীবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ঝাউলা চন্দ্র রায়ের মেয়ে ও বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রীমতি ঈশিতা রানীর সাথে সদর উপজেলার রাজবাড়ী গ্রামের বিবেক কুণ্ডুর ছেলে বিভাশ কুন্ডু ওরফে মিঠু (২৩) এর বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন। রোববার রাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনা পারভীন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল খায়রুমকে বিষয়টি অবগত করেন।
ইউএনও’র নির্দেশে বিরল থানার পুলিশ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে মেয়ে ও ছেলে পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল খায়রুম পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার সংবাদ পেয়ে আরও পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। এসময় তিন বরযাত্রীকে পুলিশ আটক করে।
এ ঘটনায় বিরল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বর ও মেয়ের বাবাসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এমদাদুল হক মিলন/এসএস/পিআর