‘আম্পায়ারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে’


প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ০৩ মে ২০১৭

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে যে ৪ বলে ৯২ রান দেয়ারমত ভুতুড়ে ঘটনার জন্ম হয়েছিল, তার নেপথ্যে বলা হয় আম্পায়ারের ন্যাক্কারজনক পক্ষপাতিত্ব। ওই ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই লালমাটিয়ার বোলার মোঃ সুজন মাহমুদ এমন অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দেন। তার আগেরদিনও প্রায় একই ধরের ঘটনা ঘটিয়েছিল ফিয়ারফাইটারের বোলার তাসনিম হাসান। ১.১ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৫ রান।

এমন ঘটনাগুলোর পেছনে সব সময়ই শোনা যায় বাজে আম্পায়ারিং, আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের কথা। অতচ এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি শাস্তি দিলো বোলার, ক্লাব এবং ক্লাব কর্মকর্তাদের। সেই আম্পায়াররা থেকে গেলো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মাত্র ৬ মাস সিসিডিএমের কোনো ম্যাচে আম্পায়ারিং করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদেরকে।

তদন্ত কমিটির সভাপতি, বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে সাংবাদিকরা আজ জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘প্রতিবছরই তো বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরও তাদের এমন লঘু শাস্তি?’

শেখ সোহেল জানালেন, সঠিন তথ্য-প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আম্পায়ারের শাস্তি হবে। শেখ সোহেল বলেন, ‘আসলে এটার জন্য একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছিলো। সেখানে তদন্ত হয়েছে। আগে কখন কি হয়েছে তা জানি না। প্রমাণ পেলে তখন বড় শাস্তি দেয়া হতো।’

তাহলে ৬ মাস নিষিদ্ধ কেন? এর জবাবে শেখ সোহেল বলেন, ‘প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, তারা ইচ্ছা করলে খেলা বন্ধ করে দিতে পারত। সেটা না করায় তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে কথা হচ্ছে ৪ বলে ৯২ রান নিয়ে। আম্পায়ারের চেয়ে সমালোচনা হচ্ছে বোলারকে নিয়ে। এখানে যে খেলোয়াড়রা আজ অংশ নিচ্ছে তারাই এক সময়ের সাকিব-তামিম হবে। অথচ তারাই যদি দেশের সম্মান নষ্ট করে তাহলে কি করে হবে?’

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।