আরও দুটি বহুতল ভবন বানাবে ক্রীড়া পরিষদ


প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ০৩ মে ২০১৭

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের আশপাশের চেহারা। স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং পুলটি তার স্থান বদলাবে। এ পুলের চারদিকে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও ছোট মার্কেটগুলোও থাকবে না। থাকবে না কালের সাক্ষী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পুরনো ভবন এবং ভবন সংলগ্ন জিমনেশিয়ামটি। এ সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে আরও দুটি বহুতল ভবন। এনএসসি টাওয়ার-২ ও এনএসসি টাওয়ার-৩ নামে দুটি ২০ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘এ দুটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য খরচ হতে পারে দুই থেকে আড়াইশ কোটি টাকা। এখানে ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরই শুরু হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) অধীনেই নির্মাণ হবে এ দুটি বহুতল ভবন। আমরা সরকারের কাছে সেভাবেই প্রস্তাব দিয়েছি। প্রথম টাওয়ারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি করা হবে নতুন দুটি।’

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্মাণ করেছিল প্রথম ২০ তলা ভবনটি। এ টাওয়ার নির্মাণের পর পুরনো ভবন থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তর করা হয় সেখানে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ফ্লোর ভাড়া দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ব্যাংক, বীমা, হোটেলসহ বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অফিসে এনএসটি টাওয়ার-১ এ। এনএসসির প্রশাসনিক কার্যালয় আর বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার ছাড়া ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর কোনো কাজে ব্যবহার নেই প্রথম এনএসসি টাওয়ারটি।

প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন দুটি হবে এনএসসি টাওয়ার-২ ও এনএসসি টাওয়ার-৩ নামে। টাওয়ার-২ তৈরি হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবন ও তদসংলগ্ন জিমনেশিয়াম ভেঙে। আর এনএসসি টাওয়ার-৩ হবে সুইমিংপুল এবং তার পাশের অন্যান্য ক্রীড়া স্থাপনা ভেঙে। তাহলে সুইমিং পুলের কী হবে? ‘সুইমিং পুল থাকবে। তবে সেটা টাওয়ারের একেবারে ওপরে হবে না অন্য কোনো স্থানে তার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সুইমিংপুল টপ ফ্লোরে না অন্য কোথাও করা যায় সব কিছু যাচাই করেই সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’-বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব।

টাওয়ার-৩ এ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্রীড়া সংবাদিকদের সংস্থাগুলোর কার্যালয়, ক্রীড়া যাদুঘর, জিমনেশিয়ামসহ বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা থাকবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে নতুন টাওয়ার দুটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার যতটা কম রাখা যায়। আমাদের প্রধান লক্ষ্য বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।’

অনেক খেলা আছে যাদের নিজস্ব ভেন্যু নেই। ক্রীড়া পরিষদের হাতেগোনা কয়েকটি জিমনেশিয়াম আছে যা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে বিভিন্ন ফেডারেশন। ‘আমাদের খেলা অনেক। কিন্তু সেভাবে সুনির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। প্রত্যেক খেলার জন্য আলাদা ভেন্যুর ব্যবস্থা করা আমাদের কর্তব্য। সেটা মাথায় রেখেই নতুন দুটি বহুতল ভবন তৈরি করব। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের জন্য উন্নতমানের হোস্টেল, ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, একাডেমির ব্যবস্থা থাকবে। নতুন টাওয়ার দুটি খেলাধুলার উন্নয়নে বেশি ব্যবহার করা হবে।’

আরআই/এনইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।