থাইরয়েডে সমস্যা হলে করণীয়


প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ০২ মে ২০১৫

থাইরয়েড প্রজাপতির মত দেখতে একটি গ্রন্থি, যেটা গলায় থাকে, গলার কলার বোন বা বিউটি বোন নামক হাড্ডির উপরে। এটি একটি এন্ড্রোক্রাইন গ্রন্থি। এটি হরমোন তৈরি করে। আর থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরে জৈব বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর গুরূত্ব অনেক। থাইরয়েডে অনেক রকম রোগ হতে পারে।

হাইপোথাইরয়ডিজম:
যখন শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়।

লক্ষণ
কাজ করতে এনার্জি না পাওয়া বা ক্লান্তবোধ করা, খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া, পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়ার পরেও শরীরের ওজন ব্যাখ্যাতীতভাবে বেড়ে যাওয়া, ঠান্ডা একদমই সহ্য করতে না পারা, চুল ও ত্বক শুকনো ও মোটা হয়ে যাওয়া, মেয়েদের মাসিকের সময় প্রচুর রক্ত যাওয়া ও অনিয়মিত মাসিক হওয়া, মুখ ফুলে যাওয়া, হতাশাগ্রস্থ হওয়া, মাংসপেশীতে ব্যথা, পায়খানা কষা হয়ে যাওয়া, বন্ধ্যাত্ব, মানসিক অবসাদ, যৌন চাহিদা কমে যাওয়া, হার্ট এর গতি কমে যাওয়া, থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া বা গোটা গোটা ওঠা।

এই সব লক্ষণ কয়েকটা একসাথে দেখা দিলে ডাক্তার এর শরনাপন্ন হবেন। ডাক্তার আপনাকে কিছু পরীক্ষা করতে দিবে। পরীক্ষার ফল দেখে ডাক্তার নিশ্চিন্ত হবেন আসলেই আপনি হাইপোথাইরয়েডিজম এ ভুগছেন কিনা। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিবেন ডাক্তার।

গলগণ্ড:
এছাড়াও থাইরয়েড গলগণ্ড হয়। থাইরয়েড গ্লান্ড যে কোনও কারণে বড় হয়ে গেলে, তাকে গলগন্ড বলে। অনেক সময় থাইরয়েড  হরমোন স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু গ্লান্ড বড় হয়ে যায়, যেমন, বয়ঃসন্ধি কালে ও গর্ভাবস্তায়, কারণ এ সময় শরীরের চাহিদা বেশি থাকে। এটা স্বাভাবিক। তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। এছাড়া হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম, থাইরয়েড এ ক্যান্সার ও কোনও প্রদাহ  হলে হয় গলগন্ড। তাই থাইরয়েড গ্লান্ড বড় হলে ও উপরে লেখা উপসর্গ দেখা দিলেই
ডাক্তার দেখান।

থাইরয়েড গ্লান্ড সুস্থ রাখার উপায়:

১. উচ্চ মানের tyrosine প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। tyrosine দরকার  হয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে। আর এটি পেতে খেতে হবে লাল মাংস, মাছ, মুরগির ডিম ও মাংস, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি।

২. goitogenous  খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, সীম, চীনাবাদাম, সয়াসস, ইত্যাদি  অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। রান্না করে খাবেন, কাঁচা খাবেন না। আর থাইরয়েড এ সমস্যা থাকলে এসব খাবার  খাওয়া উচিত নয়।

৩. gluten প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন,  immune system  কে ঠিক রাখার জন্য। এজন্য গম, শস্যদানা, যব, বার্লি খেতে হবে।

৪. থাইরয়েড  ঠিক  রাখার জন্য লিভারের সুস্থতা দরকার। কেননা এখানেই T4, T3 convert হয়। আর লিভারের সুস্থতার জন্য ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন তেলযুক্ত মাছ, কাঁচা বাদাম, অলিভওয়েল এ পাওয়া  যাবে।

৫. আয়োডিন যুক্ত লবণ খাবেন।

৬. কীটনাশক ও হেভি মেটাল যেমন, mercury, cadmium, leadead এ exposer হবেন না।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।