কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : পাপন


প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

বেশ কিছুদিন থেকেই ক্রিকেট পাড়ার অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ‘৪ বলে ৯২ রান’। দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের এ কীর্তি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু। পক্ষপাতিত্বমূলক আম্পায়রিংয়ের প্রতিবাদে এমন কাজ করেছেন লালমাটিয়া ক্লাবের সুজন মাহমুদ। তবে এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দোষী কাউকেই ছাড় দেবেন না বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার নিজ বাসভবনে পাপন বলেন, ‘শাস্তি তো অবশ্যই হবে। আম্পায়ারদের ছাড় দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আমি বলছি, কেউ ছাড় পাবে না। বিসিবি পরিচালক, আম্পায়ার, কোচ, খেলোয়াড়- কেউই ছাড় পাবে না। সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে যথাযথ তদন্ত হতে হবে, প্রমাণ থাকতে হবে। আবার প্রমাণ নেই বলে সে যা খুশি তাই করে যাবে এটাও হতে দেওয়া যাবে না। দেশের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

তবে খেলোয়াড়দের দোষ সহজে বের করা গেলেও আম্পায়ারের দোষ খুঁজে বের করা কঠিন হবে বলে মনে করেন পাপন, ‘এখানে দুটো ব্যাপার আছে। এক হচ্ছে যে করছে আর হচ্ছে যে জন্য করছে। যে করছে তারটা তো রেকর্ডে, প্রমাণ আছে। আরেকটা যেটা সেটারও সাধারণত প্রমাণ থাকে। যদি সেখানে ম্যাচ রেফারি থাকতো তাহলে তার রিপোর্ট দেখলে হয়তো কিছুটা পাওয়া যায়। যদি ক্যামেরা থাকতো তাহলে বোঝা যেত, চারটা এলবিডব্লিউ হয়েছিল, চারটাই না হওয়ার মতো ছিল কি না। আম্পায়ারের জাজেমেন্ট ভুল কি না।’

‘আর ভুল আর সঠিক হওয়ার মধ্যেও যে পার্থক্য কতটুকু আর সেটা ভুল হওয়ার মতো জিনিস কি না। এক হাত বাইরের বল এলবিডব্লিউ দেওয়া এক জিনিস আর মার্জিনাল লেগ স্টাম্প দিয়ে বাইরে যাচ্ছিল, সেটা আউট দেয়া আরেক জিনিস। না দেখে তো আপনি কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। বোর্ড হিসেবে আপনি আন্দাজের ওপর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে আমাদের এই প্রমাণগুলো নেই। এগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।’- যোগ করেন পাপন।

তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিনব প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে বোলার সুজন মাহমুদ। ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাকে।

আরটি/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।