চলতি বছরই বৈষম্য নিরোধ আইন : আইনমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ‘বৈষম্য নিরোধ আইন’ প্রণয়ন করা হবে। রাষ্ট্রের অনগ্রসর সুবিধা বঞ্চিত কিছু মানুষ রয়েছে যাদের অধিকার রক্ষার্তে আইনটি প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। তাই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে আমরা সংবিধানের নিরিখে এই আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বৈষম্য নিরোধ আইন : মানবধিকার সুরক্ষায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ’ শীর্ষক জাতীয় আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বৃহৎ মানুষদের দৃষ্টি ভঙ্গি এবং আচারণগত পরিবর্তন আনা দরকার। যাতে করে তারা নাগরিক হিসেবে দলিত শ্রেণির লোকেরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের সন্তানরাও যেন সমান সুযোগ ভোগ করতে পারে সে জন্য এ আইন জরুরী।
 
এই সময় তিনি দলিত শ্রেণির লোকদের প্রতি বৈরী আচারণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এটিকে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন।

আনিসুল হক আরো বলেন, ‘বৈষম্য নিরোধ আইন’ করেও কোন লাভ হবে না, যদি আমরা আইনের সাথে সাথে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে না পারি। তাই আইনটি যে কারণে তৈরি করা হয়েছে তা যেন মানুষ জানতে পারে, তাই এই জাতীয় অনুষ্ঠানও অব্যহত রাখতে হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে এমন একটি আইন রয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো অপরাধের শিকার হলেও যদি পুলিশ দলিত শ্রেণির লোকদের মামলা না নেয় তবে তারা যেন কোর্টের ধারস্ত হয়। কোর্ট তাদের মামলা নিতে বাধ্য। কোর্ট যদি মনে করে এই মামলার তদন্ত করা দরকার। তাহলে তারা পুলিশকে দিয়ে তা খতিয়ে দেখবে।

মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তৃপ্তি, চেতনা, মূল্যবোধ ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে না, যতক্ষণ না আমরা বৈষম্য নিরোধ না করতে পারবো। আর এই আইনের সাথে সাথে আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে। আমাদরে মানসিকতার পরিবর্তন করতে না পারলে এই আইন করে কোনো লাভ হবে না।

এ সময় তিনি নতুন তিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের উদ্দেশ্যে বলেন, যার নগর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রতি আমি এই দাবিটি রাখবো, যে আপনাদের কর্ম-কাণ্ডের মাধ্যমে, দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে, নাগরিক সুযোগ-সুবিধার নিশ্চিত করণের মাধ্যমে এবং কোন কাজকে ঝুলিয়ে না রেখে দ্রুততার সাথে শেষ করে আপনারা আপনাদের প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা জনগণের যর্থাথ আশা আকাঙ্খার প্রতীক এবং জনগণের প্রতিনিধি।

জাতীয় মানবধিকার কমিশন (জামাকন) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শাহ আলম, জামাকনের সদস্য কথা শিল্পী সেলিনা হোসেন, অ্যাডভোকেট তারানা হলিম, ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, শাহীন আনাম প্রমূখ।

এমএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।