পশ্চিমবঙ্গ ধর্মঘটে প্রভাব পড়েনি পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরে


প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

পশ্চিমবঙ্গের বাম-বিজেপির ডাকা বৃহস্পতিবারের ১২ ঘন্টা ধর্মঘটে কোন প্রভাব পড়েনি বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। কোন বাধা ছাড়াই সকাল ৯টা থেকে আমদানি-রফতানি শুরু হয় পেট্রাপোল- বেনাপোল স্থলবন্দরে। তাছাড়া সকাল ৭টা থেকে শত শত পাসপোর্টযাত্রীকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এর আগে পেট্রাপোল বন্দরে বাম-বিজেপি- কংগ্রেসের সমর্থক শ্রমিক সংগঠনরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও এবার তা দেখা যায়নি।

ভারত থেকে আসা সোহাগ পরিবহনের মালিবাগের পাসপোর্টযাত্রী শেখর কুমার সরকার জানান, হরতালের কারণে আমরা খুব ভোরে কলকাতা থেকে ডাইরেক্ট বাসে পেট্রাপোল চেকপোস্টে সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে যাই। পথে আমরা কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, আজকের হরতালে পেট্রাপোল বন্দরে কোন প্রভাব পড়েনি। হরতালের মধ্যে শ্রমিকরা কাজ করায় আমরা দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রেখেছি। এখানে হরতালের পক্ষে বিপক্ষে কোন দলই কোন মিটিং মিছিল করেনি।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি ট্রাক নিয়ে ভারতে ফিরে গেছে। সকাল ৯টা থেকে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিকভাবে চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দরে ৯০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দর থেকে ১৮০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে এসেছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন খান জানান, ভারতে হরতালের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতগামী ও ভারত থেকে আগত পাসপোর্টযাত্রীদের ভিড় ছিল একটু বেশি। এছাড়া বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় ৭ শতাধিক পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর জোট বামফ্রন্ট বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার এই হরতালের ডাক দেয়। একই দিন ১০ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করে বিজেপিও।

এসএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।