জনগণ সঙ্গে নেই বুঝেই নির্বাচন বর্জন বিএনপির : আব্দুর রাজ্জাক
জনগণ সঙ্গে নেই বুঝতে পেরেই বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার দুপুরে ২৫ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেনি। বাইরেও তাদের কর্মীকে দেখিনি। আমরা ভেবেছিলাম তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন। মানুষ তাদের ভোট দিচ্ছে না। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই জানতে পেরেই তারা নির্বাচন বর্জন করেছে।
‘বিএনপি প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো কথা আমি শুনিনি। বিএনপি এতো গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে তাদের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করার মতো লোকজন খুঁজে পায়নি। যারা পোলিং এজেন্ট দিতেই পারেনি তাদের আবার বের করে দেয়া হলো কিভাবে?
নির্বাচনে ভোট কারচুপি হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে সাঈদ খোকনের নির্বাচনী সমন্নয়ক বলেন, কোনো দলের জনসমর্থন থাকলে নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ থাকে না। তাদের আসলে কোনো জনসমর্থন নেই।
সিটি নির্বাচন থেকে বিএনপির সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে রাজ্জাক আরও বলেন, হঠাৎ করে কেনো বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালো তা জানি না। তারা বিগত ৯২ দিনে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে বাসে আগুন দিয়েছে এবং সারাদেশে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তার জন্য হয়তো তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়েছে। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণে তারা পরাজয় বুঝতে পেরে সরে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সকল অর্জন আমরা তুলে ধরেছি। ঢাকা মহানগরে অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। অনেকগুলো ফ্লাইওভার হয়েছে। হাতিরঝিলের মতো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৫-এর ৯০ দিন জামায়াত-শিবির আর বিএনপি মিলে যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব চালিয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। অনেক খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করে খেতে পারেনি। মানুষ ভোট দেয়ার সময় এগুলো বিবেচনায় নিচ্ছে।
একে/পিআর