অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্টই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়!


প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

শেষ পর্যন্ত তাহলে ওয়ানডে খেলার দাবি থেকে সরে এলো অস্ট্রেলিয়া! নিশ্চিত করে এখনও কেউ কিছু বলেনি। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ক্রিকেট.কম.এইউতে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার সফর নিয়ে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়ানডে সিরিজের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করা হয়নি। বিসিবির এক উচ্চপদস্থ কমকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রস্তাবিত সিরিজটি।

২০১৫ সালের অক্টোবরেই বাংলাদেশে সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। ২০০৬ সালের পর তারা আর বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসেনি। ২ ম্যাচের এই সিরিজটিও আইসিসি নির্ধারিত ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী। তবে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে না আসার কারণ, নিরাপত্তা ইস্যু। যদিও সব শঙ্কা বাদ দিয়ে তার কয়েকমাস পরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং হলি আর্টিজানে ভয়াবহ ঘটনার পরও বাংলাদেশ সফর করে গেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।

ঝুলে থাকা সেই সফরটিই সম্পন্ন করা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে। সিরিজের ভেন্যু এবং সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে দু’দেশের বোর্ডের মধ্যে আলোচনা চলছে। ২০১৫ সালের অক্টোবরের সূচি অনুযায়ী দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল ঢাকা এবং চট্টগ্রামে।

তবে, এবার সম্ভবত আর ঢাকার বাইরে যেতে চাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। ঢাকাতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে টেস্ট ম্যাচ দুটি। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ২টি টেস্ট ম্যাচই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে হয়তো। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমরা সূচি এবং অন্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করছি।’

২০০৬ সালে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলে গেলেও এরমধ্যে একবার বাংলাদেশ সফর করে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ বিশ্বকাপের পর মাইকেল ক্লার্কের অধীনে ওয়ানডে সিরিজ খেলে গিয়েছিল তারা। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডারউইনে একটি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশ সফরে যেতে ইচ্ছুক। বিসিবির সঙ্গে এ নিয়ে আমরা খুব ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে একটা বিষয়, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবার আগে।’

বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আস্থা রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের। তিনি গত বছর বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের সফরের সময়টা খুব মনযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। রিপোর্ট নিয়েছেন। দেখেছেন, কতটা উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘গত বছর দেখেছি, তারা ইংল্যান্ড দলের জন্য কতটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা প্রধান সিন ক্যারলকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেখানে সাত থেকে ১০দিন সেটা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন এবং আমাদের সন্তোষজনক রিপোর্ট দিয়েছেন।’

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।