ক্ষুদে ক্রিকেটারদের মাঝে মিরাজ


প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

সকালে মোহামেডান ক্রিকেট একাডেমির ক্ষুদে ক্রিকেটাররা যখন জানতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজ আসবেন ক্লাবে, তখন থেকেই তাদের মধ্যে উত্তেজনা। মাঠের বাইরে যারা ছিল তারা তো আছেই, এমনকি মাঠে যারা ক্রিকেট খেলছিল তাদের মনযোগটাও যেন ছিল মাঠের বাইরে- কখন আসবেন তাদের স্বপ্নের তারকা। মোহামেডান ক্লাবে মিরাজ এসে পৌঁছলেন দুুপুরে। তখন মাত্র এক ঝলক তাকে দেখতে পেল আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। কারণ ক্লাবে এসেই তিনি অজু করে চলে যান জুমার নামাজ পড়তে। তাকে ঘিরে থাকা ক্ষুদে ক্রিকেটারদের মিরাজ দিয়ে যান প্রতিশ্রুতি- ‘চিন্তা করো না। নামাজ পড়ে আসি, তোমাদের অনেক সময় দেব।’

নামাজ শেষে ক্লাবে মিরাজ ঢুকতেই আবার হুলুস্থুল। ছোট ছোট ক্রিকেটার, তাদের অভিভাবক সবাই ছুটছেন মিরাজের পেছনে। কারো হাতে ব্যাট, কারো হাতে বল, কারো হাতে জার্সি, কারো হাতে গ্লাভস, কারো হাতে ক্যাপ, আবার কারো হাতে হেলমেট। আবদার একটাই-অটোগ্রাফ। সঙ্গে সেলফি। মোহামেডানের অফিসিয়ালের কেউ কেউ ক্ষুদে ক্রিকেটারদের নিভৃত করার চেষ্টা করলেও মিরাজ নিজেই সবাইকে কাছে ডাকছেন, প্রাণখুলে অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। মিরাজের ক্লান্তি নেই, নেই চোখমুখে বিরক্তির ছাপ। যে চাইছেন অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, যেভাবে চাইছেন ছবি তুলছেন। পাশেই কে একজন বলে উঠলেন, ‘২০০ অটোগ্রাফ মনে হয় হয়ে গেছে। মিরাজ বললেন, তাতে কি? আমার খুবই ভালো লাগছে। আজ আমি ছোট ক্রিকেটারদের এ আগ্রহ উপভোগ করছি। এক সময় তো আমিও ওদের মতো ছিলাম। স্বপ্নের তারকাদের কাউকে সামনে পেলে এমনই করতাম।’

miraj

কলাবাগান একাডেমি দল ছেড়ে এবার মোহামেডানের নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটের নতুন এ সেনসেশন। একটি ম্যাচ খেলা হয়েও গেছে মোহামেডানের। শুক্রবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দুপুরে তার ক্লাবে আসার উপলক্ষ্যও ছিল ওই ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে মোহামেডান ক্রিকেট একাডেমি দিনব্যাপী টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। ওই টুর্নামেন্টের প্রধান আকর্ষণই ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাঠের পাশে চেয়ার পেতে বসে অনেকক্ষণ খেলাও দেখলেন মিরাজ। একদিকে অটোগ্রাফ শিকারিদের চাহিদা মেটাচ্ছেন, অন্যদিকে খেলাও দেখছেন। এক ক্ষুদে ব্যাটসম্যানের মারা ছক্কা চলে গেল মিরাজের মাথার ওপর দিয়ে। দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার বললেন, ‘বল হারিয়ে গেলো নাকি?’ আবার একজন বল করছেন তার রানআপ থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত পুরো দেখে বললেন, ‘পিচ্চির হাতে তো ভালো কাজ আছে।’

আরআই/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।