৯ এপ্রিল বিশ্বকাপের প্রথম টিকিট পেয়েছিল বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৮:৩৬ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি বিজয়ের দিন হলেও একটা সত্য নতুন করে জেনে নিন, আসলে বাংলাদেশের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছিল তারও চারদিন আগে মানে ৯ এপ্রিল। ঐ দিন মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েই আসলে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণের আনন্দে নেচে উঠেছিল বাংলাদেশ।

আইসিসি ট্রফির এক বছর আগেই আইসিসি জানিয়ে দিয়েছিল, ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির প্রথম তিন দল মানে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও তৃতীয় হওয়া দল পরবর্তী মানে ১৯৯৯`র বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তাই বাংলাদেশ যখন মেমিতে স্কটিশদের পেছনে ফেলে ফাইনালে পৌঁছাল, ঠিক তখনই আইসিসি ৯৯‘র বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

দিনটি ছিল ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল। ভেন্যু সেই কিলাত ক্লাব মাঠ। স্কটিশদের ৭২ রানে হারিয়েই আসলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন আকরাম, আমিনুল ও মিনহাজুলরা। আকরামবাহিনীর ২৪৩ রানের জবাবে স্কটিশরা ১৭১ এ থামলেই নিশ্চিত হয় টাইগারদের বিশ্বকাপ খেলা।

কাকতালীয়ভাবে ফাইনালের মত সেমির যুদ্ধও সংঘটিত হয় দুই দিনে। নির্ধারিত দিন ছিল ৮ এপ্রিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা দেরিতে শুরু হওয়ায় আর ৮ এপ্রিল খেলা শেষ হয়নি। রিজার্ভ ডে মানে ৯ এপ্রিলে গিয়ে খেলা শেষ হয়। তিন নম্বরে নামা খালেদ মাসুদ পাইলটের ৯৬ বলে ৭০, আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ৮১ বলে ৫৭ আর মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ৩১ বলে ৩৯ রানের ওপর ভর করেই অতদূর যাওয়া।

এর সঙ্গে দুই বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক ( ৪/২৫) আর এনামুল হক মনির (৩/৩১) স্পিন ঘূর্ণি যোগ হলে বড় জয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপের ছাড়পত্র। এখনো মনে পড়ে তখনকার ম্যানেজার গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্রিকেট দূরদর্শিতার কথা। ঐ আসরতো আর টিভিতে সম্প্রচার হয়নি। তাই ভিডিও ক্লিপ্স থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আর এখন যেমন নিয়মিত খেলা হয়, তখন তাও হত না। তাই কোন দলের কে কেমন খেলে? ডানহাতি, বাঁহাতি কে বা কারা? কোন বোলার বা ব্যাটসম্যানের ধরন-প্রকৃতি কেমন, এসব অজানাই ছিল।

ঐ আসরে যিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যানেজার ছিলেন, সেই গাজী আশরাফ হোসেন লিপু কৌশলে স্কটিশ ও আইরিশদের সম্পর্কে ধারণা পেতে আজকের দেশ প্রসিদ্ধ আম্পায়ার নাদির শাহকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। নাদিরকে স্কটল্যান্ড আর আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে একইদিন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়লেও নাদির শাহ নিজ দলের খেলা না দেখে বন্ধু স্থানীয় গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে ঐ দুই দলের ক্রিকেটারদের কে বা কারা ডানহাতি, ক`জন বা কে কে বাঁহাতি, কার কোনটা প্লাস-মাইনাস সে সব ধারণা দিতেন। আর লিপু তা টুকে সেভাবেই কৌশল এটেছেন।

এআরবি/এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।