ঢামেক থেকে লাফিয়ে জাহেদার আত্মহত্যা : পরিবার বলছে ‘হত্যা’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শনিবার লাফিয়ে পড়ে ‘আত্মহত্যা’ করে জাহেদা (২২) নামের এক তরুণী। তবে জাহেদার পরিবারের দাবি, স্বামীর মানসিক চাপে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় সে। জাহেদার বাবা মো. খলিলুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এপ্রিলের ২৫ তারিখে জাহেদা একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। এর চার মাস আগে থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন স্বামী সেলিম। কারণ সেলিম ও তার পরিবার ছেলে সন্তান আশা করেছিল।
একই দাবি জাহেদার বাবা রুহুল আমিন বেপারীর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হলে মেয়ে সন্তান প্রসবের পর থেকে হাসপালেই তাকে গালিগালাজ ও কটূক্তি করে কথা বলেন সেলিম। তার শাশুড়িও বিভিন্ন সময়ে তাকে মারধর করতেন। এই মানসিক কষ্টেই মারা গেছে আমার মেয়ে।
মৃত্যুর আগে ঢামেক নতুন ভবনের ৫ম তলার এক ওয়ার্ড বয়ের কাছে কাগজ কলম চেয়েছিল কিছু লিখে দেয়ার জন্য। তবে কাগজ কলম না পেয়ে কিছু না বলেই আত্মহত্যা করে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন নিহতের বোন সাদিয়া।
তবে নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে পিঠে কালো ক্ষতদাগ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য জাহেদার মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। জাহেদার মরদেহ না নিয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তানটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে সেলিম ও তার মা।
ফোনে জাহেদার স্বামী সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার দুটি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জাহেদার বাবা সেলিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
এআর/এমএস