‘মাশরাফি ভাইয়ের গুরুত্ব ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না’
ম্যাচ শেষ। সাইফ উদ্দিনের বলে সঞ্জয়ার ক্যাচটা ধরলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উল্লাসে মেতে উঠতে চাইলেন সাইফউদ্দিন। পরক্ষণেই কী মনে করে দৌড়ে ছুটে এলেন মাশরাফির কাছে। বিদায়ী অভিনন্দনটা জানালেন সাইফ। দৌড়ে এলেস সাকিব, মিরাজ। আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন মাশরাফিকে। মাথার টুপিটা কপালের ওপর আরও টেনে ধরে সতীর্থদের বিদায়ী সম্ভাষণ গ্রহণ করছিলেন অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণের পালা। সঞ্চালক একে একে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণাটা হলো স্বভাবতই সাকিব আল হাসানের নামে। এরপর কথা বলতে এলেন সঞ্চালকের মাইক্রোফোনের সামনে। শুরুতে কথা বললেন ম্যাচ নিয়ে। এরপর প্রসঙ্গ এলো বিদায়ী অধিনায়কের। এ সময় ক্যামেরা ঘুরে গেলো মাশরাফির ওপর। মাঠে ঘাসের ওপর বসে আছেন তিনি। নির্লিপ্ত। অনেক্ষণ ক্যামেরা স্থির ছিল মাশরাফির ওপর।
ওদিকে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে কথা বলে যাচ্ছেন সাকিব। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, মাশরাফি এমন এক ব্যক্তি, যিনি দলের জন্য ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান এই গুরুত্বের কথা, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি ভাই ইজ ভেরি স্পেশাল। দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তিনি, এটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। একা একটি দলকে আগলে রাখতেন। অবশ্যই আমরা তাকে মিস করবো।’
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি; কিন্তু ওয়ানডে তো খেলে যাবেন। সাকিবের প্রত্যাশা মাশরাফির নেতৃত্বে ওয়ানডেতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সাকিব বলেন, ‘ওয়ানডে দলেও তিনি সব সময় বিশাল একটি প্রভাব নিয়ে খেলবেন। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সাফল্যই কামনা করবো।’
আইএইচএস/