তোফায়েল আহমেদ ভারতে গেছেন


প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভারতে অনুষ্ঠেয় `ফাষ্ট ইন্ডিয়ান গ্লোবাল এক্সিবিশন অন সার্ভিস-২০১৫ (জিইএস)` শীর্ষক এক্সিবিশনে যোগ দিতে ভারতের নয়া দিল্লীর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ভারত সরকারের আমন্ত্রনে তিনি এ অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন।  আগামী ২৪ এপ্রিল বিকেলে তিনি মূল বিষয়ের উপর তাঁর বক্তব্য  উপস্থাপন করবেন। এক্সিবিশন চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, সার্ভিস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রি যৌথভাবে এ এক্সিবিশনের আয়োজন করেছে। নয়া দিল্লীর প্রগতি ময়দানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সিবিশনের উদ্বোধন করবেন। এ এক্সিবিশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমুহের সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেবা খাতের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ।

এ এক্সিবিশনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বর্তমানে এলডিসিভুক্ত দেশ সমুহের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করে তিনি এলডিসিভুক্ত দেশ সমুহের সার্ভিস সেক্টরে বিরাজমান সমস্যা তুলে ধরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুবিধাদি প্রাপ্তি বিষয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন। এছাড়া তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় করবেন, যা দেশের বাণিজ্যের প্রসার তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও মতবিনিময় করবেন।

ভারত বাংলাদেশের বন্ধু প্রতিম ও উন্নয়ন সহযোগি দেশ। দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কও সুদৃঢ়। দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমানও বিপুল এবং বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের প্রতিকুলে। ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারতে অনুষ্ঠেয় বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশের অধিকতর অংশগ্রহণ এবং ভারতের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

তোফায়েল আহমেদ আগামী ২৫ এপ্রিল দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এসএ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।